ব্যবসা করলেই দিতে হবে ১লক্ষ টাকা! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের

আক্রান্ত ব্য়বসায়ী সুরজ প্রসাদ সাউয়ের অভিযোগ, কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা খোকন রুইদাস ও তাঁর দলের সঙ্গীরা মিলে দোকানে এসে জানিয়ে যায় এক লক্ষ এবং মাসোহারা ১৬ হাজার টাকা দিতে পারলে তবেই মুচিপাড়ার বাজারে ব্যবসা করার ছাড়পত্র মিলবে।

ব্যবসা করলেই দিতে হবে ১লক্ষ টাকা! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের
বিক্ষোভরত ব্যবসায়ী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 31, 2021 | 9:44 AM

পশ্চিম বর্ধমান: ব্যবসা করলেই দিতে হবে ১লক্ষ টাকা। মাসোহারা ১৬ হাজার। তবেই মিলবে বাজারে দোকান দেওয়ার ছাড়পত্র। তৃণমূল (TMC) নেতা খোকন রুইদাসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার ছোট ব্যবসায়ীদের। রবিবার, তৃণমূল নেতার ‘তোলাবাজির’ হাত থেকে রেহাই পেতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্থানীয় থানাতে একটি লিখিত অভিযোগও জমা দেন ওই ব্যবসায়ীরা।

আক্রান্ত ব্য়বসায়ী সুরজ প্রসাদ সাউয়ের অভিযোগ, কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা খোকন রুইদাস ও তাঁর দলের সঙ্গীরা মিলে দোকানে এসে জানিয়ে যায় এক লক্ষ এবং মাসোহারা ১৬ হাজার টাকা দিতে পারলে তবেই মুচিপাড়ার বাজারে ব্যবসা করার ছাড়পত্র মিলবে। নয়ত, দোকান বন্ধ করতে হবে। এরপর ফোন করে ওই ব্য়বসায়ীকে হুমকি দিতে শুরু করে খোকন রুইদাসের সঙ্গীরা। টাকা দিতে না পারায়, গত শনিবার, খোকন ও তাঁর সঙ্গীরা সুরজ ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। রবিবার বাধ্য হয়েই তাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সুরজ। মুচিপাড়ার ছোট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খোকন রুইদাসের তোলাবাজির জেরে তাঁরা রীতিমতো অস্থির। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানিয়েও এর কোনও প্রতিকার হয়নি। রবিবার, বাধ্য হয়েই বিধাননগর ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অঙ্কিতা চৌধুরী। তিনি বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হবে।” এই ঘটনায়, স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের দাবি, তোলাবাজি, সিন্ডিকেটরাজ, কয়লাচুরি; এসব বরাবর করে এসেছে তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পর আরও বেড়েছে। মানুষ সময়ে এর জবাব দেবে।

উল্লেখ্য, খোকন রুইদাসের উপর তোলাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৪ সালে খোকনবাবুর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট গড়ে স্থানীয় কারখানায় সমস্যা সৃষ্টির অভিযোগ করেছিলেন দলেরই তৎকালীন বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় নানারকম অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ এবং দলবিরোধী কাজের জন্য খোকনবাবুকে সে বছরই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের তাঁকে দলে ফেরানো হয়। সেইবার, তৃণমূলের (TMC) তরফে বলা হয়েছিল, খোকনবাবুর গতিবিধির উপর নজর রেখেই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন তাই দলে ফেরানো হচ্ছে। এ বার ফের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ওঠায় দল কী ব্যবস্থা নেবে তা দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল কর্মীদের একাংশ।

আরও পড়ুন: ফিরেই মানুষের দুয়ারে মদন, ইয়াস বিধ্বস্তদের চাল-ডাল দিয়ে সাহায্য বিধায়কের