Bangladesh Army Chief: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের ‘পাশে’ আমেরিকা, মিলিয়েছে হাত! চিন থেকেই ফিরতেই ‘চমক দেখবেন’ ইউনূস?
Bangladesh Army Chief: কিন্তু যখন সেনাপ্রধান নিয়ে এত বিতর্কের আঁচ, সেই আবহেই হঠাৎ কোন উদ্দেশে বাংলাদেশে পাড়ি দিলেন মার্কিন সেনাকর্তা? জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সেনাকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যেই ছিল এই সামরিক বৈঠক।

ঢাকা: বিগত এক সপ্তাহে বাংলাদেশে ক্ষমতা দখলের খেলায় বারবার উঠে এসেছে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের নাম। বাংলাদেশের অস্থির রাজনীতিতে কম্পন এনেছেন তিনি। জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সম্ভবত ইউনূসের গদি উল্টে সেনা শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চলেছেন ওয়াকার-উজ-জামান। এমনকি, সেনার সদর দফতরে যে জরুরী বৈঠক হচ্ছে, এমনটাও কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। কিন্তু এখনও গদি ওলটায়নি। আবার শঙ্কাও পুরোপুরি কাটেনি।
তার মাঝেই প্রকাশ্যে আরও বড় তথ্য। জানা গিয়েছে, সোমবার সেদেশে দু’দিনের সফরে এসেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল জোয়েল পি ভোয়েল। পদ্মা পাড়ের দেশে সফরে এসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক সেরেছেন তিনি।
কিন্তু যখন সেনাপ্রধান নিয়ে এত বিতর্কের আঁচ, সেই আবহেই হঠাৎ কোন উদ্দেশে বাংলাদেশে পাড়ি দিলেন মার্কিন সেনাকর্তা? জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সেনাকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যেই ছিল এই সামরিক বৈঠক। বুধবার এই প্রসঙ্গে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তরফে একটি বিবৃতি জারি করা জানানো হয়েছে যে, দেশের নিরাপত্তা ও সেনাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দুই সামরিক প্রধানের মধ্যে সরঞ্জাম কেনা নিয়েও আলোচনা চলেছে।

বাংলাদেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ও মার্কিন সেনাকর্তা জোয়েল পি ভোয়েল
সেই বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে সেনাপ্রধান ছাড়াও ছিলেন জেনারেল কামারুল হাসান-সহ আরও বেশ কিছু সেনাকর্তারা।
ঘটনাচক্রে বুধবার যখন মার্কিন দূতাবাস এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে। সেই সময়ই চিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। একদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য যখন আমেরিকার প্রতি সৌহার্দ্য বাড়াচ্ছেন সেনাপ্রধান। সেই আবহেই দেশে বিনিয়োগ টানতে বেজিংয়ে গেলেন ইউনূস।





