সাংঘাতিক অভিযোগ! টিকা ছাড়াই সূচ ঢোকাচ্ছিলেন স্বাস্থ্যকর্মী, ধরা পড়লেন হাতেনাতে
Bangladesh: অভিযোগ, টিকাগ্রহণকারীদের শরীরে সূচটুকু ছোওয়ানো হলেও সিরিঞ্জেই থেকে যাচ্ছিল প্রতিষেধকের ডোজ়।
ঢাকা: সাংঘাতিক অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে। লাইন দিয়ে টিকা নিচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। ভ্যাকসিনের ভায়াল থেকে তরল নিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জে নেওয়া হলেও তা শরীরের ভিতরে পৌঁছচ্ছিল না বলেই অভিযোগ। এই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
অভিযোগ, টিকাগ্রহণকারীদের শরীরে সূচটুকু ছোওয়ানো হলেও সিরিঞ্জেই থেকে যাচ্ছিল প্রতিষেধকের ডোজ়। ফেলে দেওয়া সিরিঞ্জগুলি থেকে সে নমুনা দেখেন টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত অন্যরা। এই ঘটনায় দেলদুয়ারের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার দুপুরে। দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য ভবনে টিকা শিবির চলছিল। সাজেদা আফরিন টিকা দিচ্ছিলেন। বাইরে লম্বা লাইন। খুবই তাড়াহুড়ো করে টিকা দিচ্ছিলেন তিনি। ঝটপট করে টিকাপ্রার্থীদের হাতে সিরিঞ্জ ছুঁইয়েই তা মুহূর্তে পাশে রাখা ঝুড়িতে ফেলে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। এর পরই কয়েকজনের নজরে আসে ফেলে দেওয়া সিরিঞ্জে তরল থেকে গিয়েছে।
শুধু হয় হইচই। সেখানকার দায়িত্বে থাকা কোঅর্ডিনেটর শামিম হোসনকে বিষয়টি জানানো হয়। অভিযোগ, আরএমও ঝুড়িতে পড়ে থাকা সিরিঞ্জগুলি পরীক্ষা করে দেখেন, ২০টিতে প্রতিষেধকের ডোজ় রয়ে গিয়েছে। এরপরই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দফতরে বিষয়টি জানানো হয়।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি হয়েছে। তিনজন সদস্য রয়েছেন সেখানে। সোমবার সেই রিপোর্টও জমা পড়েছে। টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন মহম্মদ শামিম জানান, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তও বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে বাংলাদেশের এক সংবাদমাধ্যমকে জানান তিনি। টিকাপ্রার্থীর লম্বা লাইন থাকায় তিনি এই কাজ করেছেন বলে জানান। আরও পড়ুন: যাবতীয় করোনা বিধি মেনেই ১৬ অগস্ট থেকে খুলছে স্কুল, ১ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়