Srilanka Crisis: শ্রীলঙ্কা সঙ্কটে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ ‘বন্ধু’ চিনের, অশান্তি এড়াতে কলম্বোর চিনা নাগরিকদের সতর্কবার্তা

Srilanka Crisis: শ্রীলঙ্কা সঙ্কটে চিন্তায় বেজিং। উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট বার্তা চিনা দূতাবাসার।

Srilanka Crisis: শ্রীলঙ্কা সঙ্কটে 'উদ্বেগ' প্রকাশ 'বন্ধু' চিনের, অশান্তি এড়াতে কলম্বোর চিনা নাগরিকদের সতর্কবার্তা
ছবি - শ্রীলঙ্কা সঙ্কটে চিন্তায় চিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 9:44 PM

কলম্বো: অশান্তি থামছেই না শ্রীলঙ্কায়। গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। গত কয়েক মাস ধরে তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। এর জন্য সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও তাঁর ভাই তথা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে কাঠগড়ায় তুলেছে সেদেশেরে জনতা। এদিকে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চিনের ‘সুস্পর্কের’ রসায়ন নিয়ে বরাবরই জোরদার চর্চা চলে রাজনৈতিক মহলে। এবার শ্রীলঙ্কা সঙ্কটের জেরে ‘বন্ধু’ চিনের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কায় থাকা চিনা দূতাবাসের তরফেও টুইট করে উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। এমনকী শ্রীলঙ্কার গোটা পরিস্থিতির উপরেই নজর রাখছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। একইসঙ্গে চিনা দূতাবাসের টুইটে দ্বীপরাষ্ট্রে কর্মরত চিনা নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনও অশান্তির ঘটনা এড়িয়ে যেতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চিনের আশা, খুব দ্রুতই শান্ত ফিরবে শ্রীলঙ্কায়। তবে এর জন্য চিনের সমস্ত সেক্টরের আধিকারিকদের একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মত বেজিংয়ের।

প্রসঙ্গত, আমদানি নির্ভর, পর্যটন নির্ভর শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বেড়েছে গোটা বিশ্বেই। এদিকে, শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থার জন্য যে রাজাপক্ষদের বিরুদ্ধে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তারা বরাবরই চিন ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। বেআইনি ভাবে চিনকে নানা সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এবার সেই চিনের ‘সতর্কবানীতে’ রাজাপক্ষ শিবিরের যে অস্বস্তি অনেকটাই বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।

প্রসঙ্গত, চিন থেকে নেওয়া বিপুল পরিমাণ ঋণের জেরে বিপাকে পড়েছে কলম্বো। তারজেরেই গত ৭ দশকের মধ্যে সবথেকে বড় অর্থনৈতিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে সেদেশে। চাল ও গম বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২২০ ও ১৯০ টাকা কেজি প্রতি। বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে ডুবেছে গোটা দেশ। এদিকে গোটা দেশব্য়াপী বিক্ষোভের মুখে পড়ে সোমবারই ইস্তফা দিয়েছেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। কিন্তু, রাজা তো করলেন পদত্যাগ, কিন্তু এরপর কীভাবে চলবে দেশ? এই প্রশ্নেই আগুন জ্বলছে দ্বীপরাষ্ট্রে।