কোভ্যাক্সিন চুক্তিতে কাঠগড়ায় প্রেসিডেন্ট বলসোনারোও, তদন্তের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
Brazil Covaxin Deal: ভারত বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই ব্রাজিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রাথমিক রিপোর্টে কোনও বেনিয়ম না মিললেও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আপাতত ওই চুক্তি স্থগিত রাখা হচ্ছে।
সাও পাওলো: কোভ্যাক্সিনের চুক্তি নিয়ে এ বার তদন্ত হবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো(Jair Bolsonaro)-র বিরুদ্ধেও। শুক্রবার এই নির্দেশই দেয় ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভারতীয় করোনা টিকা কেনার চুক্তি ঘিরে যে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তার প্রেক্ষিতেই এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) সংস্থার কাছে ২ কোটি কোভ্যাক্সিন(Covaxin)-র বরাত দিয়েছিল ব্রাজিল প্রশাসন। গুণমান নিয়ে জটিলতা কাটার পর গতমাসেই চুক্তিতে সম্মতি জানানো হয়। কিন্তু বিরোধী দল ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের একাংশই প্রশ্ন তোলে, কোভ্যাক্সিনের তুলনায় কম দাম ফাইজ়ারের টিকার। তবুও কেন বেশি দাম দিয়ে কোভ্যাক্সিন কেনার সিদ্ধান্তই নেওয়া হল। চুক্তির পিছনে প্রেসিডেন্ট বলসোনারের হাত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ ওঠে।
ভারত বায়োটেকের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই ব্রাজিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রাথমিক রিপোর্টে কোনও বেনিয়ম না মিললেও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আপাতত ওই চুক্তি স্থগিত রাখা হচ্ছে। এরপরই ভারত বায়োটেকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তারা চুক্তিতে কোনও বেনিয়ম করেননি। প্রতিটি ধাপে সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করেছিলেন।
তবে ব্রাজিলিয়ান সেনেট কমিশন, যারা করোনা মোকাবিলা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে, তাদের তরফে জানানো হয় যে, অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে এই চুক্তি করা হয়েছে। এর পিছনে কোনও দুর্নীতি রয়েছে। ব্রাজিলের কম্পট্রোলার জেনারেল অফিসের তরফেও আলাদাভাবে এই চুক্তি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রোসা ওয়েবার কোভ্যাক্সিন চুক্তিতে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর ভূমিকা নিয়েও তদন্তের নির্দেশ দেন।তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাদ বেজ়োসের, কে হচ্ছেন অ্যামাজনের নয়া সিইও?