S Jaishankar: ‘কোমর ভেঙে যাচ্ছে আমাদের’, রাশিয়া তেলের দাম বাড়াতেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী

India on Russian Oil Price: সম্প্রতিই জি-৭ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল তেল বিক্রি করে রাশিয়া যে অর্থ উপার্জন করছে, তার খরচে সীমারেখা টানা।

S Jaishankar: 'কোমর ভেঙে যাচ্ছে আমাদের', রাশিয়া তেলের দাম বাড়াতেই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী
মার্কিন সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকিনের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2022 | 7:22 AM

ওয়াশিংটন: জ্বালানির জ্বালায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তবে শুধু সাধারণ মানুষই নন, কেন্দ্রীয় সরকারও উদ্বিগ্ন জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে। বিশ্ব বাজারে যে হারে ক্রমশ অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে, তার জেরে দেশের জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিও করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। মার্কিন সফরে গিয়ে জ্বালানির এই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিনের সঙ্গে একটি বৈঠকে তিনি অপরিশেধিত তেলের মূল্য়বৃদ্ধি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সম্প্রতিই রাশিয়া অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ানোর পরই ভারতের তরফে জানানো হয়েছে যে আপাতত তারা রাশিয়ার ক্রুড তেল কেনা থেকে বিরত থাকবে। এর বদলে মধ্য প্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকেই তেল কিনবে ভারত, এমনটাই সূত্রের খবর। এই প্রসঙ্গ নিয়েই মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা মাথা পিছু ২০০০ ডলারের অর্থনীতি। তেলের দাম নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। ক্রমাগত তেলের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের কোমর ভেঙে দিচ্ছে। এটা আমাদের কাছে যথেষ্ট বড় উদ্বেগ।”

মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, দুই দেশের মধ্যে অপরিশোধিত তেলের একটি মূল্য বেঁধে দেওয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মার্কিন সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকিনও বলেন, “আমরা নিজেদের অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলছি, কাজ করছি যাতে তেল বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ ইউক্রেনের যুদ্ধকে আরও বাড়াতে সাহায্য না করে।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই জি-৭ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি একটি প্রস্তাবনা দিয়েছিল যেখানে বলা হয়েছিল তেল বিক্রি করে রাশিয়া যে অর্থ উপার্জন করছে, তার খরচে সীমারেখা টানা। বাইডেন প্রশাসনের তরফে এই প্রস্তাবনাকে কার্যকর করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ইউরোপের দেশগুলি কম দামে তেল কেনার জন্য মধ্যস্থতার পথ খুঁজছে। যদিও একাধিক ইউরোপীয় দেশই রাশিয়ার তেলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে।

এদিকে, ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এবং একাধিক দেশ রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে ভারত রাশিয়ার ক্রুড তেলের অন্যতম ক্রেতা হয়ে উঠেছিল। তেলের দামে ব্যাপক ছাড় দেওয়ার কারণেই চিনের পর ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক হয়ে উঠেছিল রাশিয়ার তেলের। কিন্তু সম্প্রতিই রাশিয়া তেলের দাম বাড়ানোয় আমদানি কমিয়েছে ভারত। নতুন করে আর রাশিয়ার ক্রুড তেল আমদানি করার পরিকল্পনাও নেই এই মূহুর্তে।