Inhalable Vaccine: নাক দিয়ে টানলে সোজা ফুসফুসে পৌঁছবে ভ্যাকসিন, সেই দিন আর খুব দূরে নয়
Inhalable Vaccine: ইতিমধ্যেই ইঁদুরের ওপর এই টিকার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। অ্যান্টিবডির উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।
পেনসিলভেনিয়া : ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংস্থা করোনার প্রতিষেধক তৈরি করে বাজারে এনেছে। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের মানুষ সে সব টিকা গ্রহণ করেছে। বেশির ভাগ টিকাই দেওয়া হয় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ইঞ্জেকশনের ভয় থাকে সাধারণ মানুষের। তাই আরও সহজে টিকা দেওয়ার জন্য ও আরও টিকার কার্য়কারিতা আরও বাড়ানোর জন্য নতুন উপায় বের করেছেন গবেষকরা। পেনসিলভেনিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই নতুন ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা সফল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
কয়েকটি ইঁদুরকে বেছে নিয়ে তাদের নাকে ভ্যাকসিন স্প্রে করে দেওয়া হয়েছে। আর তাতে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে ফুসফুস, গলা ও নাকে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই অ্যান্টিবডি কোভিড নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ সক্ষম। মনে করা হচ্ছে, নতুন এই প্রযুক্তি ভাইরাস প্রতিরোধে আরও বেশি সক্ষম হবে। কারণ, ভ্যাকসিন নাক দিয়ে টেনে নিলে তা সরাসরি পৌঁছে যাবে ফুসফুসে।
গবেষকরা বলছেন, যাঁরা এখনও করোনার টিকা নেননি, তাঁদের ১০ শতাংশেরই টিকা না নেওয়ার কারণ হল ইঞ্জেকশনের ভয়। আর সেই ভয় কাটাতেই এই নতুন পথ বের করছেন তাঁরা। তবে শুধু নাকে স্প্রে করেই নয়, ওষুধের মাধ্যমেও টিকা দেওয়ার কথা ভাবছেন গবেষকরা। তবে সেই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে সম্ভবত আরও কয়েক বছর সময় লেগে যাবে।
স্প্রে করে ভ্যাকসিন দেওয়ার ১৪ দিন পর ও ২৮ দিন পর ইঁদুরগুলিকে পরীক্ষা করা হয়েছে। ফুসফুস পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা থাকছে অনেকদিন। ক্রমশ বাড়ছে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি। অ্যাস্ট্রাজেনেকাও তরল ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ইউকে-র ৪২ জনের ওপর সেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া কুইন মেরি ইউনিভার্সিটিতে ৭০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৬৩ শতাংশ কার্যকারিতা রয়েছে সেই ভ্যাকসিনের।