Pakistan: স্বাধীনতা দিবসে গ্রেনেড হামলা! ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল করাচি, মৃত ১৩

পাকিস্তানের সংবাদপত্র 'ডন'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় ট্রাকটিতে কুড়ি থেকে পঁচিশ জন ছিলেন।

Pakistan: স্বাধীনতা দিবসে গ্রেনেড হামলা! ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল করাচি, মৃত ১৩
ইয়েমেনে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 10:06 PM

করাচি: ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় মৃত্যু মিছিল পাকিস্তানে। শনিবার ১৪ অগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ছিল। এদিন রাতেই ভয়ঙ্কর হামলা চালানো হয়। একটি ট্রাককে নিশানা করে এই হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ট্রাকে মহিলা ও শিশুদের নিয়ে ২০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। করাচির বালদিয়া শহরে এই হামলা হয়। ১৩ জনের মৃত্যু হয়। যদিও এই হামলার দায় এখনও কোনও সংগঠনের তরফে স্বীকার করা হয়নি।

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিস্ফোরণের সময় ট্রাকটিতে কুড়ি থেকে পঁচিশ জন ছিলেন। কিন্তু কী ভাবে এই বিস্ফোরণ হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক তত্ত্ব উঠে আসছে। একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ওই ট্রাকটিকে লক্ষ্য করে হ্যান্ডে গ্রেনেড ছোড়ে। তবে অপর একটি রিপোর্ট দাবি করেছে, ট্রাকের ভিতরে বিস্ফোরণটি হয়। করাচি পুলিশ আধিকারিক ইমরান ইয়াকুব মিনহাস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে ১১ জনের মৃত্যুর খবর এলেও রবিবার তা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই রবিবার আরও দু’ জনের মৃত্যু হয়।

করাচি পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে বেশ ছয় জন মহিলা ও চারজন শিশু রয়েছে। কী ভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মোটরবাইকে চেপে একদল যুবক ওই ট্রাককে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ছুড়ে পালিয়ে যায়। এরপরই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাস্তায় পড়েন মহিলা, শিশুরা। অ্যাডিশনাল পুলিশ সার্জেন কারার আব্বাসি জানান, ১০ জনের দেহ ডক্টর রুথ ফাও সিভিক হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এটি কোনও সাধারণ হামলা নাকি এর পিছনে সন্ত্রাসবাদীদের হাত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, সন্ত্রাসবাদীরাও এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। রাজধানীর বুকে এ ভাবে হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিস্ফোরণ ঘটালে স্বাভাবিক ভাবেই তাতে জনমানসে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করবে। শহরের মানুষের মনেও আতঙ্ক তৈরি হবে। তবে এই বিস্ফোরণ যে হ্যান্ড গ্রেনেড হামলার কারণেই হয়েছে এমনটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না সে দেশের বম্ব স্কোয়াড। কারণ, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি থেকে এমন কিছু উপকরণ মিলেছে যা সাধারণ বোমা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ওই গাড়িতে কোনও বিস্ফোরক মজুত ছিল না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে স্কুলে চলছিল পতাকা উত্তোলনের প্রস্তুতি, এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, মৃত্যু কিশোরের