Imran Khan: হামলাকারীর হাত থেকে বন্দুক কেড়ে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন, ইবতিসামের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন ইমরান?
Imran Khan: বৃহস্পতিবার হামলার সময়ে ইবতিসাম যে জামা পরেছিলেন, তা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান সেই শার্টে স্বাক্ষরও করেন।
ইসলামাবাদ: অল্পের জন্য় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ইমরান খান। ভরা জনসভায় প্রাণঘাতী হামলা চলে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপরে। পায়ে চারটি গুলি লাগে তাঁর। বর্তমানে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অল্পের জন্য প্রাণ বেঁচে ফেরার পরই তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এবার তিনি ধন্যবাদ জানালেন সেই যুবককেও, যিনি হামলার চাল বানচাল করে দিয়েছিলেন এবং হামলাকারীকে ধরেছিলেন। ইমরান ‘হিরো’ বলেই সম্মোধন করেন ওই যুবককে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদে আজাদি মিছিল চলাকালীন আচমকা হামলা চলে সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপরে। একে-৪৭ দিয়ে গুলি চালনা হয় ইমরান খান ও তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পিটিআইয়ের নেতাদের উপরে। প্রাণে রক্ষা পেলেও, চারটি গুলি লাগে ইমরান খানের ডান পায়ে। সঙ্গে সঙ্গেই লাহোরের শৌকত খান্নুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ইমরান খানকে। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমেরও মুখোমুখি হন ইমরান খান, বলেন, “ঈশ্বর আমায় দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।”
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই দিনই ইমরান খান দেখা করেন ইবতিসাম নামক ওই যুবকের সঙ্গে, যিনি হামলাকারীকে আটক করেছিলেন। ইবতিসামের সঙ্গে দেখা করে ইমরান খান বলেন, “তুমি পাকিস্তানের হিরো। অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছো তুমি। আমার খুব ভাল লেগেছে এটা।”
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার হামলার সময়ে ইবতিসাম যে জামা পরেছিলেন, তা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান সেই শার্টে স্বাক্ষরও করেন। হামলার দিনের একাধিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বন্দুক উচিয়ে গুলি চালাচ্ছে হামলাকারী।সেই সময়ই এক যুবক পিছন থেকে আততায়ীর হাত চেপে ধরে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই যুবকই ইবতিসাম।
শুক্রবার জ্ঞান ফেরার পর হাসপাতালের বিছানা থেকে শুয়েই ইমরান খান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “ভগবান আমায় দ্বিতীয় জীবন দিয়েছে”। তিনি আরও বলেন, “হামলার বিবরণ নিয়ে আমি পরে কথা বলব। তবে হামলার আগেরদিনই আমি জানতে পেরেছিলাম, ওরা আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছে। ওয়াজিরাবাদে আমার উপর হামলা চলতে পারে।”