পদত্যাগ করছেন ঘানি, আজই তালিবানের দখলে চলে যেতে পারে আফগানিস্তানের গদি
এ দিন সকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে যে কোনও মুহূর্তেই পদত্যাগ করতে হতে পারে প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানিকে। তিনি নাকি আগেই ইস্তফা পত্র তৈরি করে রেখেছিলেন।
কাবুল: রবিবারই আফগানিস্তানের রাজধানীতে প্রবেশ করেছে তালিবানরা (Taliban)। পরিস্থিতি বেসামাল হতেই পদত্য়াগ করতে চলেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি (Ashraf Ghani), এমনটাই সূত্রের খবর। নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন তালিবানের অন্য়তম প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল গনি বরাদর। ইতিমধ্য়েই তিনি কাবুল (Kabul) পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন সকালেই খবর মেলে কাবুল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জালালাবাদের দখল নিয়েছে তালিবানরা। এরপরই চারদিক থেকে কাবুলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে তারা। বেলা বাড়তেই উত্তপ্ত পরিস্থিতির খবর মেলে। একদিকে শোনা যায়, প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে সাধারণ বাসিন্দারা শহর ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। অন্য়দিকে, অনেক বাসিন্দাই আবার বিনা প্রতিরোধে তালিবান সেনাকে স্বাগত জানাচ্ছে।
এ দিন সকাল থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তাতে যে কোনও মুহূর্তেই পদত্যাগ করতে হতে পারে প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানিকে। তিনি নাকি আগেই ইস্তফা পত্র তৈরি করে রেখেছিলেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তালিবান প্রতিনিধি দলও পৌঁছেছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। কথা চলছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের। যদিও আফগান বা তালিবান সূত্রে এই খবরে সিলমোহর দেওয়া হয়নি এখনও।
Acting Interior Minister Abdul Sattar Mirzakwal said Kabul will not be attacked and that the transition will happen peacefully.
He assures Kabul residents that security forces will ensure the security of the city. pic.twitter.com/uim9LVqn9q
— TOLOnews (@TOLOnews) August 15, 2021
কাবুলে প্রবেশের আগেই তালিবানদের তরফে জানানো হয়েছে, তারা কোনও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চায় না। কাউকে শহর ছেড়েও যেতে হবে না। সকলকে বাড়িতেই থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আপাতত তালিবান সেনাদেরও শহরে ঢুকতে বারণ করা হয়েছে।
তালিবানদের তরফে শান্তির বার্তা দেওয়া হলেও বিভিন্ন সূত্রে খবর মিলেছে কাবুলের নানা প্রান্তে বিক্ষিপ্ত অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আফগান সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই চলছে, কোথাও আবার বিদেশী দূতাবাস থেকে কূটনৈতিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া ঘিরে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বিমানবন্দরে ব্রিটিশ সেনার সঙ্গেও গুলির লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আফগানিস্তানের তরফে আগেই ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা খারিজ করে দিয়েছিল তালিবানরা। এ দিকে, আফগানিস্তানে এখনও আটকে রয়েছে দেড় হাজার ভারতীয়। সেক্ষেত্রে তালিবানদের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, ভারত যদি সামরিক হস্তক্ষেপ না করে, তবে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের কোনও প্রকার ক্ষতি করা হবে না। আফগানিস্তান প্রশাসনের পাশ থেকে আগেই সরে গিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স সহ একাধিক দেশ। আমেরিকার তরফেও সাফ জানানো হয়েছে যে, সেনা প্রত্যাহর বন্ধ করা হবে না। এ দিন সকালেই মার্কিন দূতাবাস থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, আকাশপথে মার্কিন নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আরও পড়ুন: দূতাবাস থেকে বেরচ্ছে কালো ধোঁয়া, নামছে হেলিকপ্টারও! গোপন নথি নষ্টের নির্দেশ মার্কিন সেনাকে