Munawar Faruqui: ‘… আজকাল আর মনেও পড়ে না’, কেন প্রকাশ্যেই হাউহাউ করে কান্না ফারুকীর?
Munawar Faruqui: ফারুকী মানেই স্টেজ জুড়ে মজা, মাঝেমধ্যে বিতর্কিত জোকসের মাধ্যমে সমালোচনা। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে ভেঙে পড়া?ভক্তরাও অবাক। কঙ্গনা রানাওয়াতের লকআপে এ কোন ফারুকী?
মাকে আমার পড়ে না মনে/ শুধু কখন খেলতে গিয়ে হঠাৎ অকারণে/ একটা কী সুর গুনগুনিয়ে, কানে আমার বাজে/ মায়ের কথা মিলায় যেন, আমার খেলার মাঝে…
বহু বছর আগে কবিগুরুর কবিতাই যেন হঠাৎ সত্যি কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকীর জীবনে। লোককে হাসানোই যার কাজ তাঁর চোখে ভিজে। হৃদয় ভারাক্রান্ত। কষ্ট দলা পাকিয়ে উঠছে গলা বেয়ে। মা নেই। সেই কত বছর আগে মাকে শেষবার ছুঁয়ে দেখেছেন তিনি। আদর করে জড়িয়ে ধরেছেন। সেই স্পর্শ, সেই আদর আজ ফিকে। তবু কেন এত কান্না?
ফারুকী মানেই স্টেজ জুড়ে মজা, মাঝেমধ্যে বিতর্কিত জোকসের মাধ্যমে সমালোচনা। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে ভেঙে পড়া?ভক্তরাও অবাক। কঙ্গনা রানাওয়াতের লকআপে এ কোন ফারুকী? এক কোনায় বসেছিলেন ফারুকী। চোখে পড়ে শো-র আর এক প্রতিযোগী আজমা ফাল্লাহর। তাঁর তখন দু’চোখ ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে। প্রথমটায় বলতে চাননি তিনি। চুপ ছিলেন। বারবার জিজ্ঞাসা করায় জানালেন, মাকে মিস করছেন। ফারুকীর কাছের বন্ধু অঞ্জলি। আজমাকে বিস্তারিত না বললেও অঞ্জলির কাছে আর চোখের জল বাঁধ মানেনি তাঁর।অঞ্জলিকে বলেই ফেলেন, “এত বছর মা নেই, আজকাল আর মনেও পড়ে না। মনে তো তাকেই পড়ে যার উপস্থিতি তুমি বুঝতে পারবে। কিন্তু ওই উপস্থিতিও তো আজ ফিকে।
শুধু কিছু মাঝেমধ্যে কিছু বিক্ষিপ্ত ভাবনা আসে, তাঁকে স্মৃতি বলা চলে না”। এর আগেও মায়ের স্মৃতিকে চোখ ভিজেছে তাঁর। সঙ্গে ভিজেছে ভক্তদের মনও। মঞ্চ জুড়ে হাসির নেপথ্যে কি বুক জুড়ে লুকিয়ে এক ভেঙে যাওয়া হৃদয়। যে মনের হদিশ এতকাল কেউ পায়নি? উঠেছে প্রশ্নও। ফারুকী নিজেতে ভাঙতে চাননি, তবু… ‘মনের হদিশ কে বা জানে’?