কথায় বলে নামে কী বা আসে যায়! কিন্তু নামে যে সত্যিই আসে যায় তা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বাংলার ‘সুবর্ণলতা’ ওরফে অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। দু’দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর চলে যাওয়াতেই কার্যত হয়রানির শিকার হতে হল এই অনন্যাকে। দুজনেরই নাম ও পদবী এক হওয়াতেই সমস্যার সূত্রপাত। অনেকেই মনে করেন সুবর্ণ বুঝি প্রয়াত হয়েছেন। এমনকি তাঁর ‘অকালমৃত্যু’তে শুরু হয়ে যায় ‘শোকজ্ঞাপন’ পালাও। বেশ কিছু পোর্টালেও তাঁর ছবি দিয়ে বেরিয়ে যায় ‘খবর’। আর তাতেই বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। উদ্বিগ্ন ভক্ত ও কাছের মানুষদের ফোন-মেসেজে জেরবার হতে হয় তাঁকে। এরপরেই ফেসবুক থেকে একটি পোস্ট করেন অনন্যা।
সেখানে তিনি লেখেন, ” অনন্যা দি খুবই ভাল মানুষ হচিলেন। আমি কাজ করেছি একসঙ্গে… অসময়ে তাঁর চলে যাওয়া খুব দুঃখের। এক সময়ে ওঁকে আর আমাকে নিয়ে খুব বিভ্রান্তি হত বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থার মধ্যে। কিন্তু সেটা ল্যান্ডলাইনের যুগ ছিল। সামাজিক মাধ্যম আবার তাঁকে আমার সঙ্গে তাঁকে গুলিয়ে ফেলেছে। এটা অন্যায়… এটা ঠিক নয়। তাঁদের ভুল আমি শুধরে দিলাম। যারা আমার জন্য উদ্বেগ করছেন তাঁদের সকলকে জানাই যে যিনি আমাদের ছেড়ে গিয়েছেন তিনি সিনিয়র অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম”। অনন্যার এই পোস্টে আশ্বস্ত হয়েছেন ভক্তরা। তবে সত্যতা যাচাই না করেই সামাজিক মাধ্যমে কিছু পোস্ট করার অভ্যেস যে বেড়েই চলেছে এ ঘটনা যেন তাই প্রমাণ করে দেয়।