Jisshu Sengupta: দেবালয় ভট্টাচার্যর নতুন পিরিয়ড ড্রামায় যীশু সেনগুপ্ত?
রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে একটি পিরিয়ড ড্রামা তৈরি করতে চলেছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য।
বাংলা ছবি হোক হিন্দি হোক কিংবা হালফিলের দক্ষিণীছবি। সব জায়গাতেই এখন একটাই নাম। তিনি হলেন যীশু সেনগুপ্ত। বাংলার ছেলে। কলকাতার ছেলে। যত সময় এগোচ্ছে তাঁর ব্যপ্তি যেন আরও বৃহৎ হচ্ছে। বাংলার বাইরে তাঁর ভক্ত সংখ্যাও কিন্তু খুব একটা কম নয়। যাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন অভিনেতার নতুন ছবির। পুজোর হিড়িক যেতে না যেতেই যীশু ভক্তদের জন্য এসে গেল সুখবর। সূত্রের খবর অনুযায়ী পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যর সঙ্গে জোট বাঁধতে চলেছেন অভিনেতা।
রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে একটি পিরিয়ড ড্রামা তৈরি করতে চলেছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। আর সেই ছবিতেই নাকি অভিনয় করতে দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। ইতিমধ্যে অভিনেতার সঙ্গে কথাও হয়ে গিয়েছে প্রযোজনা সংস্থার। যীশুর ডেট নিয়ে আপাতত আলোচনা চলছে। ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে শুরু হতে পারে শুটিং। সবটাই নির্ভর করছে যীশুর সময়ের উপর।
আপাতত অভিনেতার ঝুলিতে একগুচ্ছ ছবি। সঙ্গে রিয়্যালিটি শো-তো আছেই। যদিও শত ব্যস্ততা থাকলেও এই পুজোতে পরিবারের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন অভিনেতা। যার প্রমাণও মিলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে। অষ্টমীতে স্ত্রী, মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে নিজের পুরোনো পাড়ায় অঞ্জলী থেকে লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা। সব মুহূর্তগুলোই লেন্সবন্দী হয়েছে নানা সময়।
কলকাতা-মুম্বই আসা যাওয়ার মাঝেই কেটে যাচ্ছে অভিনেতার জীবন। গত মার্চে ৪৪ ছুঁলেন যিশু সেনগুপ্ত। তাঁর সিনেমা-জীবনের বয়স ২২ বছর। কত উত্থান-পতন, কত না-বলা গল্প, কত অপমান, কত অভিজ্ঞতা ভিড় করে আছে এই ৪৪ বছরের জীবনে। স্মৃতিরা জমতে জমতে পাহাড় হয়েছে যিশুর মনে। জীবনের সেই অচেনা-অজানা গল্পগুলোকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে কলম ধরেছেন তিনি। আত্মজীবনী লিখছেন। সেই আত্মজীবনী খুব শীঘ্রই বই আকারে প্রকাশ পাবে। প্রকাশনার দায়িত্বে দে’জ পাবলিশিং। যিশুর জন্মদিনে তাঁর আত্মজীবনীর প্রচ্ছদ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছিলল দে’জ পাবলিশিং। যিশুর আত্মজীবনীর নাম ‘আবহমান:জার্নি সো ফার’।
‘আবহমান’ যিশু সেনগুপ্তের একটি ছবির নাম। এই ছবির পরিচালক ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, যাঁকে যিশু মেন্টর মানেন। এই আত্মজীবনীতে নিজের জীবনের সবটুকু খুলে বলবেন যিশু? সে সময় তিনি বলেছিলেন, “লকডাউনের সময়ই আত্মজীবনী লেখার প্ল্যানটা করি। মনে হল, আমার জীবনের অনেক গল্প এবার মানুষকে শোনানো দরকার। একজন অভিনেতার জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই থাকে, তার ভাল-মন্দটা সবার জানা দরকার। আমার সিনেমা-জীবনের অনেক অজানা গল্প আমি খোলাখুলিভাবে লিখব। আশা করি, মানুষের পড়তে ভাল লাগবে।”
আরও পড়ুন:Karan Johar: বাবা বেঁচে থাকলে আজ এই দিনটি নিজের চোখে দেখতে পেতেন: করণ জোহর