AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ঘন ঘন হাই তুলছেন? হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে!

দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যা ফেলে রাখবেন না। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক ছাড়াও ব্রেন টিউমার, লিভারের সমস্যা দেখা দিলেও ঘন ঘন হাই ওঠে।

ঘন ঘন হাই তুলছেন? হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে!
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: May 16, 2021 | 12:38 PM
Share

একজনের দেখাদেখি হাই তোলা খুব সাধারণ একটি ঘটনা। কাজে বসার পর থেকেই ঘন ঘন হাই উঠছে! ক্লান্তিভাব দূর হচ্ছেই না। সাধারণত ঘুম পেলে হাই ওঠে। কখনও কখনও রাত জেগে কাজ করলে, ভাল ঘুম না হলে পরদিন সকালে বার বার হাই তোলা স্বাভাবিক। দেহে অক্সিজেনের অবাব ঘটলে বারবার হাই ওঠে। কিন্তু রাতে গভীর ঘুমের পরও সারাদিনজুড়ে ঘন ঘন হাই তোলা মোটেই স্বাভাবিক ঘটনা নয়। সারাদিন মাথা ঝিমঝিম করা, ক্লান্তিভাব থাকলে সাবধান হোন এখনই। কারণ আপনার অজান্তেই শরীরে মধ্যে নানান সমস্যা তৈরি হচ্ছে, আর এটা তার পূর্ব লক্ষণ মাত্র।

অতিরিক্ত হাই তোলার পিছনে কয়েকটি গুরুতর কারণ রয়েছে, যা এড়িয়ে গেলে নিজের শরীরের প্রতি অবিচার করা হবে। সেই কারণগুলি জেনে নিন ও সাবধান হোন আজ থেকেই।

আরও পড়ুন- সতর্ক না হলে বিপদ! হরমোনাল ইমব্যালান্স হয়েছে কিনা বুঝবেন কীভাবে?

ঘুমের ব্যাঘাত- কাজের বেশিরভাগ সময়টাই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের স্ক্রিনে চোখ রেখেই কেটে যায়। অধিকাংশ ঘুমের সময়ের কোনও সঠিক সময় থাকে না। ফলে দিনের বেশিরভাগ সময়টাই ঘুম, ক্লান্তিতেই কেটে যায়। এতে মনোযোগোর অভাব ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে এই ধারা চলতে থাকলে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

হতাশা ও উদ্বেগ- বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষে বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে হৃদস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট ও মাত্রারিক্ত স্ট্রেস তৈরি হচ্ছে। রাতের সময় যখন ঘুমানোর প্রয়োজন, তখন যদি কাজে করেন, কিংবা সারারাত কাজ করার পর ফের দিনে অন্য পারিবারিক কাজকর্মে লিপ্ত হোন, তাহলে শরীরের প্রতি অত্যাচার ছাড়া আর কিছু হয় না। দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের কারমে মানুষ স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে পারেন না। এমনটি যদি মাসের মাস হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

আরও পড়ুন : রোজ গরম জলে স্নান করলে এড়ানো যাবে করোনার সংক্রমণ! কতটা যুক্তিসম্মত?

হার্টের সমস্যা- হাই তোলার সঙ্গে ভেগাস নার্ভের সম্পর্ক রয়েছে। এই নার্ভ আমাদের মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে হৃদযন্ত্রে ও পাকস্থলীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। স্ট্রোকের আগে বার বার হাই উঠতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ার্ক আউট করার সময় যাঁদের ঘন ঘন হাই ওঠে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি হার্টের ভিতর রক্তক্ষরণ হলে অতিরিক্ত হাই ওঠার প্রবণতা তৈরি হয়।

ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে- যে কোনও ঠান্ডায় অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। যদি কোনও ব্যক্তির ঠান্ডা আবহাওয়ায় সমস্যা হয়, তাঁর ঘন ঘন হাই ওঠে, তাহলে তাঁকে খুব দ্রুত কোনও গরম জায়গায় নিয়ে যান। অক্সিজেনের অভাবে ঘন ঘন হাই তোলা স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন- PPE পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চিকিত্‍সা করে কোন-কোন রোগের সম্মুখীন হচ্ছেন কোভিড যোদ্ধারা, খোঁজ নিয়েছেন?

খিঁচুনি- নিদ্রাহীনতার কারণে খিঁচুনির মতো মারাত্মক কোনও রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। বার বার হাই তুলতেই পারেন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে হাই তোলা মোটেই সুবিধাজনক কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সমস্যা ফেলে রাখবেন না। ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক ছাড়াও ব্রেন টিউমার, লিভারের সমস্যা দেখা দিলেও ঘন ঘন হাই ওঠে।