পাইলসের সমস্যা খুবই সাধারণ। এবং এই সমস্যায় অমাদের আশপাশের অনেক মানুষই ভোগেন। মলত্যাগ করার সময় কষ্ট, মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত এসবই হল পাইলসের কারণ। পাইলসে মলদ্বারের ভিতর বা বাইরের দিকে একটি মাংসপিণ্ড দেখা যায়। যে কারণে মলত্যাগের সময় এত কষ্ট হয়।
এই কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলসের থেকে আসে অ্যানাল ফিসারের মত সমস্যা। এই সমস্যাটি একটি গুরুতর ধরনের পাইলস যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলসের কারণে মলদ্বারে ফাটল তৈরি হয় এবং রোগীর মলত্যাগে অসুবিধা হয়।
অতিরিক্ত পরিমাণ মশলাদার খাবার খেলে, ফাইবার কম খেলে, জল কম খেলে ফাস্ট ফুড-তেলেভাজা বেশি খেলে এবং ঘুম কম হলে এই সমস্যা আসবেই। এছাড়াও দুর্বল মেটাবলিজম, খাবার হজম না হওয়া, মন দিয়ে খাবার না খাওয়া এর অন্যতম কারণ।
কোষ্ঠকাঠিন্যয়, ফিসার, ফিশচুলার মত সমস্যায় অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খান। এছাড়াও রোজকারের খাবারে আরও যা কিছু রাখতে পারেন তা হল দুধ। গ্যাস, অম্বলের সমস্যা না হলে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন। সেই দুধে মিশিয়ে নিতে পারেন ১ চামচ গাওয়া ঘি।
মেথির জল একই সঙ্গে একাধিক সমস্যা সমাধান করে। সারা রাত জলে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে তা ছেঁকে নিয়ে খান। এতে রক্ত শর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি পাইলের সমস্যা, অর্শেও সমান কার্যকরী। শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে
আমলকির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে পারে আমলকির জুস। আর তাই নিয়ম করে এক গ্লাস আমলকীর জুস রোজ খেতে পারেন। এতে পেট পরিষ্কার থাকে।
খেতে পারেন কিশমিশ ভেজানো জলও। কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখুন আগের রাতে। পরদিন সকালে তা ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে খান। এতেও উপকার পাবেন।