High Cholesterol: ডায়েট মেনেও নিয়ন্ত্রণে নেই কোলেস্টেরল? এবার নিয়ম করে হাঁটা শুরু করুন
Health Tips: কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে গেলে আপনি নিজের মধ্যে একটি ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দিনে ৪৫ মিনিট হাঁটুন।
কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েটে পরিবর্তন আনেন অনেকেই। রেড মিট ছুঁয়েও দেখেন না। মেপে মেপে রান্নায় তেল ব্যবহার করেন। জাঙ্ক ফুডও নৈব নৈব চ। ডায়েটে থাকে শুধু সবুজ সবজি। কিন্তু এতেই সীমাবদ্ধ থাকলে কাজ হবে না। কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল যোগব্যায়াম না করা। এখানেই সমস্যা তৈরি হয়। কোলেস্টেরলকে বশে রাখার অন্যতম উপায় হল যোগব্যায়াম করা। কিন্তু সময়ের অভাব অনেকেই তা করেন না। আবার অনেকেই নানা কারণে এড়িয়ে যান। কিন্তু শরীরচর্চা না করলে কোনও লাভ হবে না।
কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে গেলে আপনি নিজের মধ্যে একটি ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দিনে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। ৪৫ মিনিট ঘড়ি ধরলে হাঁটলে উপকার পাবেন। তবে একটু জোড়ে হাঁটতে হবে। এমন ভাবে হাঁটবেন যাতে ঘাম হয়। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে খারাপ কোলেস্টেরল মাত্রা। অন্তত এমনটাই বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
যদিও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে বাইরের খাবার খাওয়া, ধূমপান, মদ্যপান, যোগব্যায়াম না করা ইত্যাদি। সমস্যা হল, এই সমস্যা সহজে ধরা পড়ে না। চটজলদি এর লক্ষণগুলো দেখা যায় না। নীরব ঘাতকের মতো শরীরে বেড়ে চলে কোলেস্টেরল।
কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, করোনারি আর্টারি ডিজিজ এবং স্ট্রোকের মতো মারণ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় কোলেস্টেরল। বর্তমানে লাইফস্টাইল ডিজিজে পরিণত হয়েছে কোলেস্টেরল। কিন্তু সমস্যা হল অধিকাংশের বেশি মানুষ এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া নিয়ে একটুও সচেতন নন।
প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে কোলেস্টেরল মানেই খারাপ নয়। আমাদের শরীরে দু’ধরনের কোলেস্টেরল রয়েছে। এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ভাল এবং এটা শরীরের প্রয়োজনীয় জিনিস। অন্যদিকে সমস্যা তৈরি হয় যখন এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই আপনাকে এই এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ঘড়ি ধরে যেমন ৪৫ মিনিট হাঁটবেন, তেমনই একটি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলতে হবে। নিয়ম করে শুধু ডায়েট কিংবা শুধু শরীরচর্চা কোনও ভাবেই ভাল প্রভাব ফেলবে না শরীরে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে যেমন ডায়েট মানতে হবে, একই ভাবে নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেতে হবে। খাবার খাওয়ার সঠিক সময় মেনে চলতে হবে। তেলে ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তবেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।