ত্বক ভাল রাখবেন কীভাবে? কিছু বাজে খাদ্যাভাসের বদল ঘটলেই মিলবে সুফল

ত্বক একটি স্পর্শেন্দ্রিয়, যা মাথা থেকে পা পর্যন্ত গোটা শরীর আস্তরণে মোড়া থাকে। আবহাওয়া, আঘাত ও বহিরাগত কোনও ব্যকটেরিয়া থেকে রক্ষা করতে দেহের আভ্যন্তরীন অঙ্গগুলি রক্ষা করে।

ত্বক ভাল রাখবেন কীভাবে? কিছু বাজে খাদ্যাভাসের বদল ঘটলেই মিলবে সুফল
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: Jun 02, 2021 | 6:46 PM

স্বাস্থ্যকর থাকতে ও বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার জন্য সবার প্রথম যত্ন নেওয়া দরকার ত্বকের। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ফ্যাট ও নিম্ন মানের খাবার খাওয়ার অভ্যেস থাকলে ত্বকের উপর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে। একজন প্রাপ্তবয়স্কের সুস্থতার উপর নির্ভর করে তাঁর খাদ্যাভাস। তাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর খাবারগুলিকে এড়িয়ে যেগুলি উপকারী সেগুলি খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। শরীরের ত্বকের জন্যও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যেস করা উচিত।

অতিরিক্ত কার্বস ও ক্ষতিকর ফ্যাট

শরীরে শক্তি উৎপাদন করা জন্য কার্বোহাইড্রেট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে কার্বস ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের কারণে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাস্তা, বার্গার, প্যাকেটজাত খাবার, রেড মিট, মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কার্বস জাতীয় খাবার রক্তের মধ্যে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে, যা পরে ব্লাড সুগারে পরিণত হতে পারে। পরিস্কার, ব্রণহীন ত্বক পেতে অতিরিক্ত কার্বস ও অস্বাস্থ্যকর চর্বি এড়িয়ে চলুন।

অধিক চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার

যে কোনও মিষ্টিজাতীয় খাবার দাঁতের পক্ষে তো বটেই, ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। টিনজাত ফল, জ্যাম, জেলি, ক্যান্ডি, সংরক্ষিত মিষ্টি, কৃত্রিম সইটেনার খাওয়া যতটা সম্ভব কম করুন। খুব ভাল হয়, যদি এই জাতীয় খাবার ডায়েট থেকেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কোলাজেন উত্পাদনকে প্রভাবিত করে মিষ্টিজাতীয় খাবারগুলি। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা, প্রাকৃতিক শোভা ও লাবণ্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার

নিয়মিত ভাজাভুজি, মশালাদার খাবার গ্রহণের ফলে শরীরে বেশি পরিমাণ টক্সিন জমা হতে থাকে, তার কারণে ব্রণ, ফোঁড়া দেখা দেয় ত্বকে। মশলাদার খাবার শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তপ্রবাহকে প্রভাবিত করে। এছাড়া মশলা শরীরে মধ্যে বিষাক্ত বর্জ্য তৈরি করতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুন: দীর্ঘায়ু হতে রোজকার ডায়েটে রাখুন ২ ফল আর ৩ ধরনের সবজি!

একাধিকবার চা বা কফি

এক কাপ চা বা কফি আপনাকে সতেজ করতে পারে ঠিকই, কিন্তু একের বেশি বার বা কাপের পর কাপ চা ও কফি খেলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয় । স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে আদ্রর্তা দরকার। তাই প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত চা বা কফি খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল।

অধিক দুগ্ধজাত খাবার বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে

অতিরিক্ত পরিমাণে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করলে হরমোনের উপর দারুণ প্রবাব পড়ে। যা ত্বকের উপরিভাগে থাকা রোমকূপগুলি বুজিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এরফলে ব্রণ ও পিম্পল দেখা দিতে পারে।

অতিরিক্ত নুন খেলে

লবণ বা সোডিয়াম রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে ডিহাইড্রেশন, ত্বকের জলের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দিতে পারে।