সিজন চেঞ্জের সময় একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। তার মধ্যে সবচাইতে কমন হল গলা ব্যথা, জ্বর, সর্দি-কাশি। এছাড়াও এই সময় পক্সেও আক্রান্ত হন অনেকে। এই বছর পক্সে আক্রান্তের সংখ্যাও কিন্তু বেড়েছে
জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়াও যে সমস্যা এই সময় দেখা যায় তা হল হাঁটুতে ব্যথা। আগে ৬০ পেরোলে তবেই হাঁটুর ব্যথা আসত। এখন ৩০ পেরোতে না পেরোতেই সেই সব সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে। সুগার, প্রেসারের সমস্যার মতই হাঁটুর ব্যথা এখন ঘরে ঘরে।
অধিকাংশই এখন একটানা বসে কাজ করেন। শরীরচর্চা করার তেমন কোনও সুযোগ নেই। আর সারাদিন এই বসে বসে কাজ করায় শরীরের তেমন কোনও পরিশ্রম হয় না। ফলে ক্যালোরি জমতে থাকে। শরীরের অতিরিক্ত ভার হাঁটুর উপর গিয়ে পড়লেই তখন হাঁটু ব্যথা হয়
ক্যালশিয়ামের অভাবও এই হাঁটু ব্যথার অন্যতম কারণ। এমনিই মেয়েদের মধ্যে ক্যালশিয়ামের অভাব দেখা যায়। এখন অনেকে ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত লক্ষণেও ভুগছেন
আর তাই সিজন চেঞ্জের এই সময় নিজের খেয়াল রাখার পাশাপাশি নজর দিন খাওয়া-দাওয়াতেও। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে কাঁচা হলুদ কাঁচা হলুদ গরম দুধের মধ্যে মিশিয়ে খেলে। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে।
এছাড়াও হাঁটুতে কাঁচা হলুদ আর নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মালিশ করে নিন। এতেও ব্যথার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়াও হাঁটুর ব্যথায় উপকারী হল লবঙ্গের তেল। লবঙ্গ চিবিয়ে খেলেও কাজ হবে আর লবঙ্গ তেল মালিশ করলেও ব্যথা থাকবে নিয়ন্ত্রণে
যে কোনও ব্যথা বেদনা রুখতেই কাজে আসে রসুন। রোজ কয়েক কোয়া করে রসুন খেতে পারলে শরীর থাকবে তরতাজা। এছাড়াও রসুন কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। জয়েন্টের ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা রুখতে রসুন ভাজা গরম ভাতের সঙ্গে খান