Aromatherapy: মনজুড়ে শুধুই বিষন্নতা? একবার অ্যারোমাথেরাপি প্রয়োগ করেই দেখুন না…
Benefits of aromatherapy: প্রাকৃতিক উপায়ে স্নায়ুর চাপ কমাতে জুড়ি মেলা ভার এই থেরাপির। কোনও রকম সিন্থেটিকের প্রয়োগ ছাড়াই মন শান্ত হয় এই প্রক্রিয়ায়। এছাড়াও অনেক শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়
জীবন যত উন্নত হয়েছে ততই কিন্তু জটিল হয়েছে পারিপার্শ্বিক অবস্থা। কাজের চাপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানসিক চাপ (Mental Pressure)। এছাড়াও বেড়েছে প্রত্যাশার পারদ। সব মিলিয়ে মানসিক ভাবে কিন্তু সকলেই বিধ্বস্ত (Depression)। তবে সবার ক্ষেত্রে বহিঃপ্রকাশ একরকম নয়। মন বিষন্ন থাকলে শরীরের সব হরমোনও কিন্তু ঠিকভাবে কাজ করে না। হরমোন ঠিকমতো কাজ না করলেই কমে যায় বিপাক ক্রিয়া। মস্তিষ্ক থেকে স্নায়ুতে ঠিকমত সব সিগন্যালও আসে না। যে কারণে কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যাও আসে। আর মনে যদি একরাশ বিরক্তি থাকে তখন কোনও কাজেই ঠিকমত মন বসে না। তাই মন ঠিক রাখা খুব জরুরি। সেই সঙ্গে কিন্তু স্নায়ু শিথিল রাখাও দরকার। আর তাই কাজে লাগাতে পারেন অ্যারোমাথেরাপি। অ্যারেমাথেরাপি পদ্ধতির মাধ্যমে কিন্তু আপনি অনেক উপকার পেতে পারেন।
বহুযুগ আগে থেকেই কিন্তু এই অ্যারেমাথেরাপির প্রচলন ছিল। প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিদেরও ভরসা ছিল এই সুগন্ধী দিয়ে রূপচর্চা। এই থেরাপিতে মূলত শিকড়, বীজ, পাতা, ফুল সবই ব্যবহার করা হয়। এই শিকড় থেকে যে সব তেল পাওয়া যায় তা স্নানের জলে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন। এমনকী ম্যাসাজও করতে পারেন। তাই ওষুধের পরিবর্তে প্রয়োগ করুন এই থেরাপি। এতে মন দ্রুত চাঙ্গা হবে। পেশিও থাকবে শিথিল। সম্প্রতি, জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন ট্রাস্টেড সোর্সে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ অনুযায়ী হতাশা থেকে মুক্তি পেতে এই থেরাপির জুড়ি মেলা ভার। অ্যারোমথেরাপিতে যে যে ফুলের নির্যাস ব্যবহার করা হয় তা হল-
জুঁই, চন্দন, ইলাং ইলাং, পুদিনা, গোলাপ, জেরানিয়াম, ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল – এসবই মূলত ব্যবহার করা হয় অ্যারোমাথেরাপিতে। যে কোনও সিন্থেটিক গন্ধের থেকে কিন্তু অ্যারোমাথেরাপি অনেক ভাল। কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই অ্যারোমা থেরাপি?
ডিফিউশন- ডিফিউজার মেশিন কিন্তু বাজারে অনেক পাওয়া যায়। আজকাল গৃহসজ্জার সঙ্গী হয়েছে এই ডিফিউজার। আর তাই এমন জায়গায় সুগন্ধী রাখুন যাতে পুরো বাড়ি জুড়েই গন্ধ ছডজ়িয়ে পড়তে পারে।
রুম স্প্রে- কাজ করতে করতে মাঝেমধ্যেই বাড়িতে স্প্রে করুন সুগন্ধী। এতে মাথা ব্যথার মত সমস্যা দূর হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মনও ফ্রেশ থাকে। এসেন্সিয়ল অয়েল আর জল একসঙ্গে মিশিয়ে এই স্প্রে আপনি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন।
ম্যাসাজ- ম্যাসাজ করলেও কিন্তু ক্লান্তি দূর হয়। ডিপ্রেশনের অন্যতম কারম হল ক্লান্তি। আজকাল প্রত্যেকেই বিরামহীন ভাবে কাজ করে না। ঘুম পেলেও সেই ঘুমনোর সুযোগ টুকুও কিন্তু থাকে না। তাই চোখ বন্ধ করে মিনিট ১৫ বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও কাজের ফাঁকে কয়েকড্রপ জুঁই বা গোলাপের সুগন্ধী হাতে নিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতেও কিন্তু ভাল ফল পাবেন।
স্নানের জলে- গরমে দিনে তিনবার পর্যন্ত স্নান করতেই পারেন। এতে কিন্তু শরীরের কোনও সমস্যা হয় না। আর এই জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন। পেশি রিল্যাক্স হবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।