Belly fat: ডায়েট করেও কমছে না মেদ? এ ৫ অভ্যাস রপ্ত করলেই ফল মিলবে হাতেনাতে…
ওজন কমাতে চাইলে কম খেলে আর ঘুমোলেই যে কাজ হবে এমন কিন্তু নয়। এই ধারণা একেবারেই ভুল। বরং এতে পেটে চর্বি জমে যায়
আজকাল বেশিরভাগই রোগা ( Weight loss) হওয়ার পিছনে ছুটছেন। অতিরিক্ত ওজন ( Obesity) জনিত সমস্যা ঘরে ঘরে। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ক ফ্রম হোমে পুরোপুরি ঘরে বসে কাজ। দৈহিক পরিশ্রমের কোনও সুযোগ নেই। বরং খাওয়া দাওয়া অনেক বেশি হয়। খাওয়া-দাওয়া বেশি হলে ওজন বাড়বেই। এছাড়াও যদি ঠিক নিয়ম না মেনে খাবার খাওয়া হয়, শরীরচর্চা করা হয় তাহলেও কিন্তু ওজন বাড়তে বাধ্য। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা রোগা হতে চেয়ে কম খাবার খান, কার্বোহাইড্রেট একেবারেই খান না, রোজ শরীরচর্চা করেন আবার যাতে শরীরে ফ্যাট না জমে তার জন্য কম ঘুমোন- এতে কিন্তু শরীরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। আর এই পদ্ধতি মেনে চললে ফ্যাট তো গলেই না, উপরন্তু অতিরিক্ত ফ্যাট ( excess fat in body) জমে যায় শরীরে। তাই যখন পেটের অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে চাইছেন তখন কিন্তু এই কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
মিষ্টি এবং নো-সুগার খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা- মিষ্টি, কেক, কুকিজের প্রতি লোভ কার নেই। কিন্তু ডায়েটে থাকলে বা ওজন কমাতে চাইলে এই কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলতেই হবে। এমন অনেকে আঈছেন, যখন তাঁদের মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে তখন তাঁরা নো-সুগার পানীয় কিংবা লো-ফ্যাট কুকির দিকে ঝোঁকেন। এই সব খাবার কিন্তু মোটেই চিনিবিহীন হয় না। বরং এই সব খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই খারাপ। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে একটা গোটা মিষ্টি খান। এতে ফ্যাট তুলনায় কম। যে কোনও কৃত্রিম খাবারই শরীরের জন্য খারাপ।
কম ঘুম- রাতে কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে এদিকে ওয়ার্ক আউট করতে হবে বলে আপনি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ছেন। এতে যেমন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে তেমনই কিন্তু শরীরেরও ক্ষতি হয়। বিপাক ক্রিয়া অনেক কমে যায়। তখন খাবার হজম হতে সময় লাগে, ডায়েট করলেও ওজন কমতে চায় না। সমীক্ষা বলছে, যাঁরা প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুমোন তাঁদের কিন্তু পেটে চর্বি জমার সম্ভাবনা আড়াই গুণ বেড়ে যায়।
ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলা- ডিম আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটায়। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন একটা করে ডিম খেতে। ডিম সিদ্ধ, পোচ, ওমলেট যে ভাবে খুশি খেতে পারেন। অনেকেই ডিমের শুধু সাদা অংশ খান। কুসুম খান না। কারণ তাতে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল। আর এই ভাবনা কিন্তু ঠিক না। ডিমের কুসুমের মধ্যে থাকে ভিটামিন ডি। যা আমাদের শরীরের জন্য ভাল। সেই সঙ্গে ডিমের মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল কিন্তু ততটাও ক্ষতিকারক নয়। তাই পুরো ডিম খান।
ওয়ার্কআউট করুন- প্রতিদিন নিয়ম মেনে ওয়ার্কআউট করুন। তবে অতিরিক্ত কোনও কিছু করবেন না। এছাড়াও সপ্তাহে দুদিন কিন্তু গ্যাপ দিতেই পারেন। এতে কোনও ক্ষতি হবে না। বরং পেটের চর্বি গলবে তাড়াতাড়ি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Omicron Sub- Variant BA.2: ওমিক্রনের ‘ছোটভাই’ BA-2 কতটা বিপজ্জনক? জানুন যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…