বিধানসভায় সুড়ঙ্গ! অজানা ইতিহাসের হাতছানি?

বিধানসভার অন্দরের একটি ঘরে সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2021 | 12:42 AM
নয়া দিল্লি: দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য লাল কেল্লার সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুরঙ্গের হদিশ মিলেছে বৃহস্পতিবার। দিল্লি বিধানসভার অন্দরের একটি ঘরে সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি বিধানসভা থেকে লাল কেল্লার দূরত্ব প্রায় ৬ কিমি। তাই সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গটির খোঁজ মেলার পর দিল্লি বিধানসভার অন্দরে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে।

নয়া দিল্লি: দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য লাল কেল্লার সঙ্গে সংযুক্ত একটি সুরঙ্গের হদিশ মিলেছে বৃহস্পতিবার। দিল্লি বিধানসভার অন্দরের একটি ঘরে সুড়ঙ্গের প্রবেশ পথের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি বিধানসভা থেকে লাল কেল্লার দূরত্ব প্রায় ৬ কিমি। তাই সুদীর্ঘ সুড়ঙ্গটির খোঁজ মেলার পর দিল্লি বিধানসভার অন্দরে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে।

1 / 5
আকস্মিকভাবে এই সুরঙ্গ আবিষ্কারের মধ্য়ে রহস্য়ের গন্ধ পাওয়া গেলেও, আদতে এর পেছনে রয়েছে অন্য় কাহিনী। এই বিষয়ে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল জানিয়েছেন যে বিধানসভা থেকে লালকেল্লা সংযোগকারী এই সুড়ঙ্গ মূলত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্য়ত্র সরানোর সময় জনরোষের হাত থেকে বাঁচতেই এটি ব্য়বহার করা হত।

আকস্মিকভাবে এই সুরঙ্গ আবিষ্কারের মধ্য়ে রহস্য়ের গন্ধ পাওয়া গেলেও, আদতে এর পেছনে রয়েছে অন্য় কাহিনী। এই বিষয়ে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল জানিয়েছেন যে বিধানসভা থেকে লালকেল্লা সংযোগকারী এই সুড়ঙ্গ মূলত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অন্য়ত্র সরানোর সময় জনরোষের হাত থেকে বাঁচতেই এটি ব্য়বহার করা হত।

2 / 5
এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ আরও বলেন, "যখন আমি প্রথম বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসি তখন থেকেই গুঞ্জন শুনেছিলাম যে এখানে লালকেল্লা সংযোগকারী একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে সুড়ঙ্গটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। এখন আমরা এটি খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু আমরা কোনো রকম খনন কার্য চালাচ্ছি না, কারণ মেট্রো প্রকল্প ও নর্দমা নির্মাণের ফলে এখন আর সুড়ঙ্গটির কোনো অস্তিত্ব নেই।"

এই প্রসঙ্গে দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ আরও বলেন, "যখন আমি প্রথম বারের জন্য বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসি তখন থেকেই গুঞ্জন শুনেছিলাম যে এখানে লালকেল্লা সংযোগকারী একটি সুড়ঙ্গ রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে সুড়ঙ্গটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারিনি। এখন আমরা এটি খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু আমরা কোনো রকম খনন কার্য চালাচ্ছি না, কারণ মেট্রো প্রকল্প ও নর্দমা নির্মাণের ফলে এখন আর সুড়ঙ্গটির কোনো অস্তিত্ব নেই।"

3 / 5
দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষের বক্তব্য় থেকে আরও জানতে পারা গিয়েছে যে ১৯১২ সালে ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পর, বর্তমান দিল্লি বিধানসভা ভবনটি তখন কেন্দ্রীয় আইনসভা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯২৬ সালের পর এটিকে আদালতে রূপান্তরিত করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কোর্টে নিয়ে আসার সময় এই সুড়ঙ্গটি ব্রিটিশরা ব্য়বহার করত।

দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষের বক্তব্য় থেকে আরও জানতে পারা গিয়েছে যে ১৯১২ সালে ব্রিটিশ রাজত্বের সময় কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পর, বর্তমান দিল্লি বিধানসভা ভবনটি তখন কেন্দ্রীয় আইনসভা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৯২৬ সালের পর এটিকে আদালতে রূপান্তরিত করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কোর্টে নিয়ে আসার সময় এই সুড়ঙ্গটি ব্রিটিশরা ব্য়বহার করত।

4 / 5
"আমরা সকলেই অবগত যে এখানে একটি ফাঁসি কক্ষ রয়েছে,কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ সেটা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে দেশের বীর স্বাধীনতা যোদ্ধাদের উৎসর্গ করে তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্য়ে নতুন করে কক্ষটিকে সাজিয়ে তোলা হবে", এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল। দিল্লি বিধানসভার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। অধ্যক্ষের বক্তব্য় থেকে জানা গিয়েছে ফাঁসি কক্ষটি সংস্কারের পর সেটি একটি দ্রষ্টব্য় স্থান হিসেবে জনগণের জন্য় খুলে দেওয়া হবে। আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসের আগেই সংস্কারের কাজ সম্পূর্ন হবে।

"আমরা সকলেই অবগত যে এখানে একটি ফাঁসি কক্ষ রয়েছে,কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ সেটা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে দেশের বীর স্বাধীনতা যোদ্ধাদের উৎসর্গ করে তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্য়ে নতুন করে কক্ষটিকে সাজিয়ে তোলা হবে", এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি বিধানসভার অধ্যক্ষ রাম নিবাস গোয়েল। দিল্লি বিধানসভার সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। অধ্যক্ষের বক্তব্য় থেকে জানা গিয়েছে ফাঁসি কক্ষটি সংস্কারের পর সেটি একটি দ্রষ্টব্য় স্থান হিসেবে জনগণের জন্য় খুলে দেওয়া হবে। আগামী বছর স্বাধীনতা দিবসের আগেই সংস্কারের কাজ সম্পূর্ন হবে।

5 / 5
Follow Us: