BJP: ‘মন্ত্রীর দরবার’ চালু করছে বিজেপি, সরাসরি কথা বলার সুযোগ আম জনতার

BJP, Central Ministers, বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একজন প্রতিদিন দলের মুখ্য কার্যালয়ে ২ ঘণ্টার জন্য সবার সঙ্গে দেখা করে তাদের যাবতীয় অভাব অভিযোগ ও সমস্যার কথা শুনবেন এবং সেই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন

BJP:  'মন্ত্রীর দরবার' চালু করছে বিজেপি, সরাসরি কথা বলার সুযোগ আম জনতার
দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য দলের সদর দফতরের দরজা সোমবার থেকেই খুলে দেওয়া হবে ছবি ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 10, 2021 | 12:36 PM

নয়া দিল্লি: সংগঠনকে মজবুত করতে এবং জনসংযোগ বাড়াতে নয়া পদ্ধতি চালু করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সোমবার থেকেই সাধারণ মানুষ ও বিজেপি (BJP) কর্মীরা দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে (Dindayal Upadhaya Marg) বিজেপির সদর দফতরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।

দেশের শাসক দলের কো অপারেশন বিভাগের উদ্যোগে দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য দলের সদর দফতরের দরজা সোমবার থেকেই খুলে দেওয়া হবে। করোনা মহামারীর প্রকোপে বেশ কিছুদিন ধরেই নিষ্ক্রিয় ছিল বিজেপির সমন্বয় বিভাগ। দলের সমন্বয় বিভাগের আহ্বায়ক নবীন সিনহা (Navin Singha) জানিয়েছেন সোমবার থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ‘ রোস্টার ডিউটি ‘ শুরু হতে চলেছে। প্রথম সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মন্ডব্য, ক্রীড়া মন্ত্রী কিরণ রিজিজু, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের মত তাবড় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনতা ও দলের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের যাবতীয় অভাব অভিযোগ শুনবেন।

২০১৪ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুর উদ্যোগে বিজেপির সদর দফতরে ‘সহায়তা বিভাগ ‘ চালু হয়। এই বিভাগ বিজেপির কেন্দ্রীয় স্তরের সাংগঠনিক কাঠামো ১৯ বিভাগের মধ্যেই অন্যতম।

বিজেপি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একজন প্রতিদিন দলের মুখ্য কার্যালয়ে ২ ঘণ্টার জন্য সবার সঙ্গে দেখা করে তাদের যাবতীয় অভাব অভিযোগ ও সমস্যার কথা শুনবেন এবং সেই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। এই কথোপকথনের সময় জনগণের তরফে যেসব আবেদন জমা পড়বে, সেটা কো অপারেশন বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

এই সহায়তা বিভাগের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে উৎসাহিত করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। দলীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ রক্ষা করার একটি প্রধান মাধ্যম হিসেবে এই পদ্ধতিকেই ব্যবহার করতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Election) তিন বছর বাকি থাকলেও আগে ভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছে বিজেপি। কৃষক আন্দোলন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি সহ নানা ইস্যুতে জনগণের একটা অংশ যে ক্ষুব্ধ, সেটা আন্দাজ করতে পেরেছেন বিজেপি নেতারা। সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ক্ষোভই যে ব্যালট বাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে, সেটাও বুঝেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই আগেভাগেই যাবতীয় খামতি ঢাকতে জনসংযোগকে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী – অমিত শাহরা। এর পাশাপাশি কর্মীরা যাবতীয় অভিযোগ জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলে, তাদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা হবে। ফলে সাংগঠনিকভাবে পোক্ত হবে দল। বিজেপির এই কৌশল জনগণের মনে কতটা জায়গা করে নিয়েছে আগামী দিনেই সেটা স্পষ্ট হবে।

আরও পড়ুন ‘আপনাদের সেলাম’, টিকাকরণে ১০০ কোটির গণ্ডির খুব কাছে দেশ, উৎসাহিত প্রধানমন্ত্রী