‘বিবেক বিসর্জন দিতে পারব না’, কমিশনের সঙ্গ ত্যাগ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর

পদত্যাগপত্রে তিনি পষ্টাপষ্টি জানিয়েছেন, কমিশনের চিন্তাধারার সঙ্গে বর্তমানে তিনি মিল খুঁজে পাচ্ছেন না এবং তাঁর বিবেক একমুখী নয়।

'বিবেক বিসর্জন দিতে পারব না', কমিশনের সঙ্গ ত্যাগ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 07, 2021 | 5:22 PM

নয়া দিল্লি: সময়টা খুব একটা ভাল যাচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের। আদালতে শুনানি প্রক্রিয়ায় সংবাদ মাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল। এই ঘটনার পর এ বার কমিশনের সঙ্গ ত্যাগ করলেন সুপ্রিম কোর্টে সংস্থার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবী মোহিত ডি রাম। নিজের পদত্যাগপত্রে তিনি পষ্টাপষ্টি জানিয়েছেন, কমিশনের চিন্তাধারার সঙ্গে বর্তমানে তিনি মিল খুঁজে পাচ্ছেন না এবং তাঁর বিবেক একমুখী নয়।

২০১৩ সাল থেকে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ছিলেন মোহিড ডি রাম। তিনি কমিশনের হয়ে সওয়াল-জবাব করতেন দেশের শীর্ষ আদালতে। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর একসঙ্গে কাজের পর এখন তাঁর মনে হচ্ছে, বর্তমান কমিশনের সঙ্গে তাঁর মতের মিল হচ্ছে না। ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, “সম্প্রতি আমি অনুধাবন করে বুঝতে পেরেছি যে কমিশনের কার্যপ্রণালীর সঙ্গে আমার চিন্তাধারার সামঞ্জস্য থাকছে না। তাই আমি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে প্যানেল পরামর্শকের দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে চাই।”

ইদানীং সময়ে আদালতের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ‘সুনিবিড়’ সম্পর্কের বিষয় ওয়াকিবহাল রাজনীতির কারবারিরা। শুরুটা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট থেকে। সংক্রমণের মধ্যেও ভোটের প্রচার এবং জমায়েতে লাগাম না টানায় কমিশনের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে আদালত। এরপর বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা যায়। দেশে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যও এককভাবে কমিশনকেই দায়ী করে আদালত।

আরও পড়ুন: অসংবেদনশীল নেতৃত্বের হাতে পঙ্গু ভারত, প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ সরকার: সনিয়া

কিন্তু এহেন কর্কশ সমালোচনা কমিশনের আঁতে ঘা দেয়। মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ এবং সংবাদমাধ্যমে তার সম্প্রচারের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশন। উভয় মামলাতেই ধাক্কা খেতে হয় এই সাংবিধানিক সংস্থাকে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণকে বহাল রাখা হয়। উপর্যুপরি, যে কোনও মামলা শুনানির বিবরণ সম্প্রচার করার অধিকার সংবাদ মাধ্যমের আছে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: ‘অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশ মানেই রোগী সঙ্কটজনক নয়’, কেন এমনটা বলছেন এইমস ডিরেক্টর?