MEA’s Instruction to Indian Students: ‘এখন ঝুঁকি নেবেন না…’, গোলাগুলির মধ্যেই দেশে ফিরতে চাওয়া পড়ুয়াদের পরামর্শ কেন্দ্রের
Indian Students Stuck in Ukraine: সপ্তাহ শেষেই ইউক্রেনের সুমিতে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা ভিডিয়ো বার্তায় ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই রাশিয়ার সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই শহর ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা।
নয়া দিল্লি: ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্য়ে সংঘর্ষবিরতি (Russia-Ukraine Ceasefire)। এদিকে, ইউক্রেনে এখনও প্রায় দুই-তিন হাজার ভারতীয় (Indians) আটকে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সুমি(Sumy)-তে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিয়েই বিশেষ করে উদ্বেগ বাড়ছে। সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের একের পর এক ভিডিয়ো দেখার পরই বিদেশমন্ত্রকের তরফে তাদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধের মাঝখানে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করার বদলে আপাতত নিরাপদ আশ্রয়েই থাকতে বলা হল। শনিবারই বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাশিয়া ও ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে একাধিক মাধ্য়মে যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপদে উদ্ধার করে আনা যায়। পড়ুয়াদের সঙ্গেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
সপ্তাহ শেষেই ইউক্রেনের সুমিতে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা ভিডিয়ো বার্তায় ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই রাশিয়ার সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই শহর ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তারা। সুমিতে এটিই তাদের শেষ ভি়ডিয়ো হতে চলেছে এবং তাদের যদি কোনও কিছু হয়, তারজন্য ভারত ও ইউক্রেন সরকারই দায়ী থাকবে বলে তারা জানান। এরপরই শনিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “আমাদের পড়ুয়াদের যাবতীয় সুরক্ষা ও সতর্কতা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আপাতত কোনও ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়েই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
We are deeply concerned about Indian students in Sumy, Ukraine. Have strongly pressed Russian and Ukrainian governments through multiple channels for an immediate ceasefire to create a safe corridor for our students.
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) March 5, 2022
শেষ খবর পাওয়া অবধি, দূতাবাসের তরফে ওই পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং কথা বলার পর পড়ুয়ারাও এই মুহূর্তে শহর ছাড়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কী বলা হয়েছিল ভিডিয়োয়?
সুমির স্টেট ইউনিভার্সিটির চত্বরেই ভারতীয় পতাকা হাতে ধরে একদল পডুয়া ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান, তারা যুদ্ধের মাঝেই সুমি ছাড়তে প্রস্তুত। ভিডিয়োয় এক পড়ুয়াকে বলতে শোনা যায়, “সকাল থেকেই আমরা ক্রমাগত গুলি চালানো, গোলাবর্ষণ ও পথে ঘাটে সংঘর্ষের খবর শুনছি। আমাদের প্রচণ্ড ভয় লাগছে, কিন্তু আমরা অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছি, আর অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সীমান্তের দিকে এগোচ্ছি। যদি আমাদের কিছু হয়, তার জন্য আমাদের সরকার ও দূতাবাসই দায়ী থাকবে। যদি কারোর কিছু হয়, তবে মিশন গঙ্গা সবথেকে বড় ব্যর্থতা হবে প্রশাসনের।”
অপর এক পড়ুয়াকে বলতে শোনা যায়, “আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন। এটাই হয়তো আমাদের শেষ ভিডিয়ো হতে চলেছে”। পড়ুয়াদের দাবি, প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ পড়ুয়া সুমির মেডিকেল ইন্সটিটিউটের হস্টেলে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্দি হয়ে রয়েছে। তাদের কাছে খাবার বা পানীয় জলও আর নেই। এক পড়ুয়া বরফ সংগ্রহ করে জল বানানোর ভিডিয়োও পোস্ট করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে পড়ুয়ারা বলেন, “আমাদের জন্য কিছুই করা হচ্ছে না। আমরা কয়েকজন বিদেশী পড়ুয়াদের দেখেছি তারা নিজে থেকে শহর ছাড়ার চেষ্টা করছিল কিন্তু তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের কাছে সেই ভিডিয়োও রয়েছে। দয়া করে আমাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন”।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: যুদ্ধের দেশে ছেলে, ঘুম উড়েছে মালদহের মাস্টারমশাইয়ের