ঘিলু এফোঁড়-ওফোঁড় করে পরপর ২টো গুলি, ভোটের মাঝেই খুন নীতীশের দলের নেতা
JDU Leader Murder: হঠাৎই বাইকে চেপে চড়াও হয় চার যুবক। পথ আটকে দাঁড়ায় তারা। যুব নেতার মাথায় পরপর দুটি গুলি চালায়। সঙ্গে থাকা আরেক যুবককে লক্ষ্য করেও তিনটি গুলি চালায় অভিযুক্তরা। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পটনা: ভোটের মাঝেই খুন। ভরা অনুষ্ঠানে গুলি করে খুন করা হল নীতীশ কুমারের দল জনতা দল (ইউনাইটেড)-র নেতাকে। তার সঙ্গে থাকা আরেকজনও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নীতীশ কুমার না গেলেও, খুনের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছোটেন প্রতিদ্বন্দ্বী দল আরজেডি-র নেত্রী তথা লালু-কন্যা মিশা ভারতী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিহারে। স্থানীয় বাসিন্দারা রাতভর অবরোধ-বিক্ষোভ দেখান।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সৌরভ কুমার। তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল, জেডিইউ-র যুব নেতা ছিলেন। বুধবার রাতে তিনি পটনায় একটি অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন। তার সঙ্গে মুনমুমন নামক এক যুবকও ছিল।
হঠাৎই বাইকে চেপে চড়াও হয় চার যুবক। পথ আটকে দাঁড়ায় তারা। যুব নেতার মাথায় পরপর দুটি গুলি চালায়। সঙ্গে থাকা আরেক যুবককে লক্ষ্য করেও তিনটি গুলি চালায় অভিযুক্তরা। এরপরই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ ও তাঁর সঙ্গীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা সৌরভকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর সঙ্গীর তিনটি গুলি লেগেছে। তাঁর অবস্থাও সঙ্কটজনক বলেই জানা গিয়েছে।
রাতেই পটনা পুলিশের স্পেশাল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং তদন্ত শুরু করে। এদিকে, যুব নেতাকে খুনের ঘটনা প্রচার হতেই বিক্ষোভে পথে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতভর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। অন্যদিকে, জেডিইউ-র যুবনেতা খুনের খবর পেতেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছন লালু প্রসাদ যাদবেক কন্যা মিশা ভারতী। এই ঘটনায় এখনও অবধি নীতীশ কুমারের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।