Pujari Rape Case: দুই বোনের সামনেই কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ! ‘কোন দেবতা এমন পুরোহিতের পুজো নেন?’ প্রশ্ন হাইকোর্টের

Kerala High Court: ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে পুরোহিতের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট।

Pujari Rape Case: দুই বোনের সামনেই কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ! 'কোন দেবতা এমন পুরোহিতের পুজো নেন?' প্রশ্ন হাইকোর্টের
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2021 | 12:04 AM

তিরুঅনন্তপুরম: মন্দিরের পূজারী (Pujari) বা পুরোহিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এ দেশে নতুন নয়। কয়েকদিন আগেই দিল্লির ক্যান্টমেন্টে এক কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ (Rape) ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিল এক পুরোহিত। এমনই একটি মামলায় মন্দিরের পূজারীর পৌরহিত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। এক কিশোরীকে তার দুই বোনের সামনে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে এক পূজারীর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, ‘কোন দেবতা গ্রহণ করেন এমন পুরোহিতের পুজো!’ পকসো আইনে মামলা হয়েছে ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে। এ দিন তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

কী ছিল অভিযোগ?

এক মহিলা ও তাঁর তিন সন্তানকে ছেড়ে চলে যান তাঁর স্বামী। অসহা্য অবস্থায় আশ্রয় খুঁজছিলেন ওই মহিলা। এই অবস্থায় তাঁদের আশ্রয় দেন ওই পূজারী। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপর ওই পুরোহিতের আসল রূপ সামনে আসে। মহিলা বড় মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে ওই পুরোহিত। অন্য দুই মেয়ের সামনেই চলে এই সৌন নির্যাতন। অন্তত বছর খানে ধরে এই অত্যাচার সহ্য করতে হয় তাঁদের।

এ দিন বিচারপতি বলেন, একজন মহিলা ও সন্তানদের ছেড়ে যখন স্বামী চলে যায়, তখন তিনি খুবই অসহায় হয়ে পড়েন। আর এ ক্ষেত্রে সেই মহিলাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমি ভেবে অবাক হই যে কোনও দেবতা এমন পুরোহিতের পুজো গ্রহণ করেন, কোন পুজোয় মাধ্যম হয়ে ওঠেন এমন পুরোহিত?’

মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন মা

২০১২ সালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। রাস্তায় অসহায় অবস্থায় ঘিরে বেড়াচ্ছিলেন ওই মহিলা। নিজের সন্তানদের প্রতিই অমানবিক আচরণ করছিলেন। ঘটনাটি নজরে আসতেও খবর যায় চাইল্ড লাইনে। এরপরই মা ও তিন সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায়, ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। হিংস্র হয়ে উঠেছেন তিনি। মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে ও তাঁর সন্তানকে।

এরপর তাঁর মেয়ের মুখ থেকেই শোনা যায় অত্যাচারের কাহিনী। কিশোরী জানায়, দুই বোনের সামনেই তাকে ধষর্ণ করা হত। সে বর্ণনা দেয়, কী ভাবে তার মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করত ওই পুরোহিত। ঘরের কোণে বসিয়ে রাখা হত কিশোরীর দুই ছোট বোনকে।

আদালত এ দিন বলে, মায়ের মানসিক অবস্থা আদতে আমাদের সমাজের লজ্জা। যে আবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাতে মানসিক অবস্থা ঠিক রাখা সম্ভব নয়। তিন সন্তানের খাবার, আশ্রয়ের চিন্তা, সন্তানের ওপর যৌন নির্যাতন। কোনও মা’ই এই অবস্থায় নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।

আরও পড়ুন: Assam: ‘অনুপ্রবেশকারী’ উচ্ছেদে রণক্ষেত্র অসম, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ১ আন্দোলনকারীর!