Calcutta High Court: এখনই রক্ষাকবচ নয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে স্বস্তি মিলল না অভিষেকের আপ্ত সহায়কের
Calcutta High Court: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার উল্লেখ টেনে সুমিত রক্ষাকবচ চান, সেই আর্জিতে এখনই সাড়া নয় সিঙ্গল বেঞ্চের। বিচারপতি জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে কড়া পদক্ষেপ করলে, আসতে পারেন সুমিত। ৪ ডিসেম্বর শুনানি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ দু'পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কলকাতা: আদালতে স্বস্তি নয় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়ের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন সুমিত। কেন্দ্রীয় সংস্থা যখন তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছিল, তখনই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও কড়া পদক্ষেপ না করা হয়, তার আবেদন জানান। সোমবার একদিকে যখন তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন, অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টে তাঁর এই আবেদনের শুনানি ছিল। তবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ তাঁর আর্জি খারিজ করে দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার উল্লেখ টেনে সুমিত রক্ষাকবচ চান, সেই আর্জিতে এখনই সাড়া নয় সিঙ্গল বেঞ্চের। বিচারপতি জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে কড়া পদক্ষেপ করলে, আসতে পারেন সুমিত। ৪ ডিসেম্বর শুনানি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ দু’পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “ওঁ কি কেন্দ্রীয় সংস্থার সমনের উত্তর দিয়েছেন?” সুমিতের আইনজীবী জীষ্ণু সাহা বলেন, “ওঁ সমনের জন্য গিয়েছেন। তবে আমরা সমন খারিজ চাইছি। ওঁকে ২ অক্টোবর নোটিশ দেওয়া হয়,ব্যাঙ্ক ডিটেইলস সহ যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য। ওঁ সেটা দেন।” আইনজীবীর বক্তব্য, ১২ তারিখ ফের সুমিতকে সমন দেওয়া হয়েছে। সুমিত রায়কে শুধু ডাকা হচ্ছে, কারণ তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে।
এই মামলায় সুমিত রায়ের রক্ষাকবচের আবেদন জানানো হয়। সুমিতের আইনজীবী জীষ্ণু সাহা আদালতে জানান, এর আগে কয়লা মামলায় তদন্তে সুমিত রায়ের রক্ষাকবচ আছে। এই মামলাতে ফের সমন করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও তাঁর রক্ষাকবচের আবেদন করা হয়।
বিচারপতি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে গ্রেফতার করার মতো কোন তথ্যপ্রমাণ ছিল না ইডির কাছে। প্রয়োজনীয় নথির অভাব ছিল। এই ক্ষেত্রে সুমিত রায় নিজের পক্ষে কোনও তথ্য উপস্থিত করেননি পিটিশনে। এরপরই বিচারপতি তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। জানিয়ে দেন, যদি পরবর্তী কেন্দ্রীয় এজেন্সি কোনও কড়া পদক্ষেপ করে, তাহলে তিনি আদালতের আসতে পারেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ ডিসেম্বর। প্রসঙ্গত, সুমিত রায় হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করে ইডি। সূত্রের খবর, সুমিত অভিষেকের অত্যন্ত আস্থাভাজন। তাঁর অফিসে বসেন। সেই সূত্রেই তাঁকে তলব।