কয়লা পাচারকাণ্ডে হন্যে হয়ে ‘ছোটু’র খোঁজ করছে সিবিআই

লালাকে (Lala) মাসে ৪০ কোটি টাকা নেতাদের দিতে হত। হাতে সেই প্রমাণ রয়েছে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি। কলকাতাতেই সেই টাকা আসত বলেও জেনেছে তারা। এমনকী, কারা সেই টাকা নিত সেই তথ্যও জেনে গিয়েছে গোয়েন্দারা।

কয়লা পাচারকাণ্ডে হন্যে হয়ে 'ছোটু'র খোঁজ করছে সিবিআই
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 20, 2020 | 9:41 PM

কলকাতা: কয়লা পাচার (Coal Smuggling) চক্র নির্বিঘ্নে চালাতে মূলচক্রী লালাকে (Lala) মাসে ৪০ কোটি টাকা নেতাদের দিতে হত। হাতে সেই প্রমাণ রয়েছে, সিবিআইয়ের (CBI) দাবি। কলকাতাতেই সেই টাকা আসত বলেও জেনেছে তারা। এমনকী, কারা সেই টাকা নিত সেই তথ্যও জেনে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু যেটা এখনও তারা জানতে পারেনি তা হল একটি নাম। ‘ছোটু’। কে এই ‘ছোটু’ তা জানতেই এখন মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

কীভাবে জানা গেল ‘ছোটু’র নাম?

কয়লা পাচার-কাণ্ডের তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা প্রথমেই এই চক্রে লালার সাগরেদদের খোঁজ শুরু করে। সেই সূত্রে জানা যায়, নীরজ সিংহ-সহ বেশ কয়েকজনের নাম। গোয়েন্দারা জানতে পারে, নীরজের কাছে আসানসোল থেকে টাকা পাঠিয়ে দিত লালা। তারপর ব্যাগে করে বান্ডিল বান্ডিল টাকা প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া হত। লালার সাগরেদদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারে, এক প্রভাবশালী নেতার হয়ে টাকা নিত ‘ছোটু’ নামে এক ব্যক্তি। অর্থাৎ সেই নেতার কাছে টাকা দিতে গেলে ‘ছোটু’র হাতেই ব্যাগ পৌঁছে দেওয়া হত। এই চক্রে যুক্ত আরও কয়েকজনও ‘ছোটু’র ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে গোয়েন্দাদের। কিন্তু কে এই ‘ছোটু’? তার ভালো নামই বা কী, তা এখনও জানা যায়নি। তাই হন্যে হয়ে সেই বিষয়গুলি জানাতে চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা।

সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, ওই প্রভাবশালী নেতার কাছে টাকা পৌঁছনোর পর বাকি কাজটা সামলাতো ‘ছোটু’। অর্থাৎ কত টাকা দেওয়া হচ্ছে সেই হিসেবে থেকে শুরু করে সেই টাকা কোথায় কী করা হবে সবটাই সে দেখে নিত। তাই ‘ছোটু’র বিষয়ে বিস্তারিত জানা সিবিআইয়ের কাছে জরুরি। ‘ছোটু’কে চিহ্নিত করা গেলেই তার মাধ্যমে প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছতে পারবে সিবিআই। জানা যাবে কয়লা পাচারের কত টাকা এসেছে প্রভাবশালীদের কাছে। তাই কয়লাকাণ্ডে প্রভাবশালী যোগ খুঁজে পেতে এই মুহূর্তে ‘ছোটু’ই বড় অস্ত্র সিবিআইয়ের কাছে।

আরও পড়ুন: করোনার গেরোয় সিএএ, একুশের আগেই কি কার্যকর? ‘ক্রোনোলজি’ বোঝালেন অমিত

লালার সাগরেদরা ‘ছোটু’ ছাড়াও আরও কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম জানিয়েছে সিবিআইকে। তাদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করার করার কাজ শুরু করেছে গোয়েন্দারা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। পাশাপাশি কয়লার টাকা কোনওভাবে বিদেশে পাচার হয়েছে কিনা কিংবা প্রভাবশালীরা সেই টাকায় বেআইনি সম্পত্তির মালিক হয়েছে কিনা সেদিকে নজর রাখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। সবমিলিয়ে কয়লাকাণ্ডের জল যে বহুদূর গড়াতে চলেছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: বাউলের সংসার চলে রেশনের চালে, শাহের পাতে মিনিকেট