Suvendu Adhikari: ‘ক্ষতিপূরণে মিথ্যার রাজনীতি চলছে’, মমতা-অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর, পাল্টা আক্রমণে কুণাল
Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর দাবি, দুর্যোগ বিধ্বস্ত অবস্থায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। যার একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় সরকার এনডিআরএফ-এর মাধ্যমে দিয়ে থাকে। কিন্তু, মমতা-অভিষেক নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে ব্যস্ত।
কলকাতা: ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পথে অন্তরায় নির্বাচন কমিশন। বিগত কয়েকদিনে লাগাতার সুর চড়িয়েছেন মমতা অভিষেক। এবার পাল্টা দিতে আসরে নেমে পড়লেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট দাবি, মমতা-অভিষেকের দাবি মিথ্যা। ৯ এপ্রিল অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, এখন এই ইস্যুতে রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে তৃণমূল। পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘আপনি কিছু লোককে সব সময় বোকা বানাতে পারেন, এবং সব মানুষকে কিছু সময় বোকা বানাতে পারেন, কিন্তু আপনি সব সময় সব মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না।’
“You can fool some of the people all of the time, and all of the people some of the time, but you can not fool all of the people all of the time.”
The renowned pair of Pathological and Congenital Liars of West Bengal think that they will keep on lying and the People of WB will… pic.twitter.com/cAxDZeUpfg
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) April 15, 2024
শুভেন্দুর দাবি, দুর্যোগ বিধ্বস্ত অবস্থায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। যার একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় সরকার এনডিআরএফ-এর মাধ্যমে দিয়ে থাকে। কিন্তু, মমতা-অভিষেক নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে ব্যস্ত। শুভেন্দু যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তাতে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, “নির্বাচন যখন ঘোষণা হওয়ার দিন থেকে রাজ্য সরকার চলে যায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। নির্বাচন কমিশন যতক্ষণ না অনুমতি দেবে ততক্ষণ আমরা কোনও কাজ শুরু করতে পারি না। ৩১ তারিখ বিকালে যখন এই ঝড় হয় তারপরের দিন আমাদের রাজ্যের তরফ থেকে ইলেকশন কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলান আমরা এই পরিবারগুলিকে দ্রুত সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেবই, সঙ্গে যাদের ছাদ ঘর ভেঙে গিয়েছে তাঁদের জন্য যাতে বাড়ির ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করতে পারে। আমরা ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে তাঁদের দিতে চাই। রাজ্যকে অনুমতি দিতে বলেছিলাম। নির্বাচন কমিশন সেই অনুমতি দিল না। এই বৈষম্য চলবে না।”
অন্যদিকে শুভেন্দুর শেয়ার করা ভিডিয়োতে মমতা বলছেন, “জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী এলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এলেন, একবার তো দুঃখীদের কথা বললেন না। একবারও তো বললেন না এই মানুষগুলো কেমন আছে! কী খেয়ে আছেন! শুধু রাজনীতির কথা বলে গেলেন। আর আমরা পারমিশন চাইতেই থাকলাম। এখন ইলেকশন চলছে তিন মাস ধরে। এখন কিছু করতে গেলেই পারমিশন চাই। বিজেপির বেলায় পারমিশন গ্রান্টেড, বেল গ্রান্টেড। আর তৃণমূলের ব্যাপারে সব জেল গ্রান্টেড।”
যদিও শুভেন্দুর দাবি, নির্বাচন কমিশন ৯ এপ্রিল এক্স গ্রেশিয়া এবং হাউস বিল্ডিং অনুদান প্রদানের জন্য ছাড় মঞ্জুর করেছে। এই বার্তা ৯ এপ্রিলই রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ময়নাগুড়ি এবং জলপাইগুড়ির মানুষ যারা বিধ্বংসী টর্নেডোতে তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছিল, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি তৈরির জন্য অনুদান পেতে পারে সে কারণেই কমিশন এই পদক্ষেপ করেছিল।
No. of words in this post: 200+ Words that make sense: 0
FYI, ex-gratia ≠ House Building Grant
People of Bengal will no longer be caught in your web of lies. Keep spinning! https://t.co/qxQ5Wui8O9
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) April 15, 2024
পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর পোস্ট শেয়ার করে খোঁচা লিখেছেন, ‘পোস্টে ২০০ শব্দের বেশি রয়েছে। কিন্তু কোনও শব্দই অর্থবহ নয়। এক্স গ্রেশিয়া মানে ঘর তৈরির জন্য অনুদান নয়। বাংলার মানুষ আর আপনার মিথ্যার জালে আটকা পড়বে না।’