AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CBSE Syllabus: ‘রবীন্দ্রনাথের দেশে ফৈজ়ের কবিতা বাদ দুর্ভাগ্যজনক’, সিবিএসসি বিতর্কে ক্ষোভ বাংলার শিক্ষাবিদদের

CBSE Syllabus: সিবিএসই-র নতুন সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে উর্দু কবি ফৈজ় ছেঁটে ফেলা হয়েছে 'সেন্ট্রাল ইসলামিক ল্যান্ডস' নামের একটি অধ্যায়ও। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত সেই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি সিবিএসই-র কর্মকর্তারা।

CBSE Syllabus: 'রবীন্দ্রনাথের দেশে ফৈজ়ের কবিতা বাদ দুর্ভাগ্যজনক', সিবিএসসি বিতর্কে ক্ষোভ বাংলার শিক্ষাবিদদের
ছবি - সিবিএসই-র সমালোচনায় সরব বাংলার শিক্ষাবিদেরা
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2022 | 8:47 PM
Share

কলকাতা : নতুন শিক্ষাবর্ষে সিলেবাসে কাটছাঁট করতেই ফের বিতর্কের মুখে পড়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (Central Board of Secondary Education) বা সিবিএসই। সিবিএসই-র দশম শ্রেণির ‘ডেমোক্র্যাটিক পলিটিক্স ২’ বইয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং রাজনীতি(Secularism and politics) সংক্রান্ত অধ্যায়ে বিগত ১০ বছর ধরে পড়ানো হত উর্দু কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজের(Urdu Poet Faiz Ahmed Faiz) কবিতা। সেই কবিতাই এবার ছেঁটে ফেলা হয়েছে সিলেবাস থেকে। যা নিয়ে গতকাল থেকেই দেশের শিক্ষা মহলের পাশাপাশি হিন্দোল উঠেছে বাংলার শিক্ষা মহলে। সিবিএসই-র এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বাংলার শিক্ষাবিদেরা। পাক জেলে বন্দিদশা কাটানোর সময় ফৈজ আহমেদ ফৈজ এই কবিতাগুলি লিখেছিলেন।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার টিভি-৯ বাংলাকে বলেন, ‘এটা একদমই উচিৎ নয়। ভারতের মতো দেশে এই ধরনের কবিতার প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের যা সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন, সেখানে ভারতের আত্মপরিচয়ের সঙ্গে গণতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যর এই ধারনাটি খুব জরুরি। এই সিদ্ধান্ত খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমি খুবই ক্ষুব্ধ। কারা করছে, কেন করছে জানিনা, কিন্তু খুবই অন্যায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ‘ একইসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় বাংলার আর এক শিক্ষাবিদ আবদুল মতিনকেও। ক্ষোভের সুরে তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লেখকদের মধ্যে ফৈজ আহমেদ ফৈজ একজন অন্যতম প্রধান মুখ। স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় এই কবির অবদান কখনও মুছে ফেলা যায়না। এই ধরনের একজন প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তির লেখা বাদ দেওয়া সত্যিই হতাশাজনক। শিক্ষার কোনও গণ্ডি হয় না। আমরা এখানে প্লেটো পড়ি, অ্যারিস্টটল পড়ি, ইউরোপীয়ান স্কলারদের লেখা পড়ি। কিন্তু এখন যদি সমস্ত স্বাধীন লেখকের-কবিদের লেখা বাদ দেওয়া হয় তাহলে কিছু বলার থাকে না। হয় তো বাদ দিতে দিতে আমরা একদিন এমন একটা জায়গায় গিয়ে দাড়াব তখন আর পড়ার কিছু থাকবে না’।

প্রসঙ্গত, শুধ উর্দু কবির কবিতার পাশাপাশি বাদ পড়েছে ‘গণতন্ত্র এবং বিবিধ’ বিষয়ক অধ্যায়ও। ছেঁটে ফেলা হয়েছে ‘সেন্ট্রাল ইসলামিক ল্যান্ডস’ নামের একটি অধ্যায়ও। এই অধ্যায়টিতে এশিয়া এবং আফ্রিকায় ইসলামিক শাসকদের শাসনকালের গতিপ্রকৃতি নিয়ে পড়ানো হত। তবে এই প্রথম নয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো, নাগরিকত্ব, জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চ্যাপ্টারগুলি বাদ দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়েও তুমুল বিতর্ক হয় দেশজুড়ে। তবে নতুন যে সিলেবাসটি সামনে আনা হয়েছে তা ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে পড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন আচমকা ‘ছেঁটে ফেলার’ সিদ্ধান্ত তা নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি সিবিএসই বোর্ডের কর্মকর্তাদের।