Kolkata Fire: শাটারের নীচ থেকে গল গল বেরোচ্ছে ধোঁয়া, ফল ব্যবসায়ীর প্রায় দু’লক্ষ নগদ টাকা তখন ছাই
Kolkata Fire: গড়িয়াহাটে ১৯ নম্বর ডোভার টেরাসের একটি দোকানে আগুন লাগে। আপাতত ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে।
কলকাতা: দোকানের শাটার নামানো ছিল, লাগানো ছিল তালা। কিন্তু আচমকাই শাটারের নীচ থেকে দাউ দাউ করে ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যতক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দা ও আশেপাশের দোকানের কর্মীরা টের পেয়েছেন, ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চতুর্দিক। ভোর রাতে ফের শহরে আগুন। গড়িয়াহাটে ১৯ নম্বর ডোভার টেরাসের একটি দোকানে আগুন লাগে। আপাতত ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। শনিবার সকালে গড়িয়াহাটের একটি দোকানে আগুন লাগে। দোকান বন্ধ ছিল। তবে ওই দোকানের ভিতর প্রত্যেকদিন তিন জন করে কর্মী থাকতেন। দোকানের ভিতরেই ঘুমোতেন তাঁরা। কিন্তু শুক্রবার তাঁরা দোকানের ভিতর ঘুমোননি। ফলে বড় বিপদ এড়ানো যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দোকানে শাটারের নীচ থেকে কুণ্ডলীকৃত কালো ধোঁয়া বের হচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্যে গল গল আগুনের হলকা বেরিয়ে আসতে থাকে। স্থানীয়দের চিৎকারে এলাকায় বহু লোক জড়ো হয়ে যান।
প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। প্রথমে একটি টেন্ডার আসে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে দ্রুত। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে। তবে আগুন নেভাতে গিয়ে দুজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাঁদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে দমকল কর্মীরাও বলেছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতাতেই আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হয়েছে। তা না হলে ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারত দ্রুত। তাহলে আরও বড় বিপদ হত। সেটি এড়ানো গিয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদেরই এলাকার এক ছেলে ভোরে আগুন দেখতে পায়। ওই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। এলাকায় কয়েকজন যুবক দ্রুত জল এনে ঢালতে থাকে। আমরা যেখানে থেকে পারি জলের জোগান দিতে থাকি। ভাগ্যিস দোকানের ভিতর কোনও গ্যাস সিলিন্ডার ছিল না, তাতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারত। তাহলে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটত।”
ওই দোকানে এক মহিলা ফল ব্যবসায়ী পরিবার নিয়ে থাকতেন। শুক্রবার তিনি ছিলেন না। রাতে আগুন লাগে। মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর ঘরে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা ছিল। গয়না সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
দমকল কর্তা জানিয়েছেন, কী থেকে আগুন, তা স্পষ্ট নয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। শুক্রবার রাতে জোড়াবাগানেও ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রথমে একটি টিনের চালের বাড়িতে আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: Purulia: ঘরের জানলা খোলা, হাওয়ায় পর্দা উড়ছিল, মা ও ছেলেকে দেখে স্থবির হয়ে গেলেন প্রতিবেশীরা
আরও পড়ুন: শুধুই দলের প্রচার! কোনও ব্যক্তি প্রচার নয়… সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়াকড়ি মমতার