একজনের পাকস্থলীতে বিষ পৌঁছেছে, অপরজনের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে! কেমন আছেন সেই ৫ শিক্ষিকা?

Kolkata: উল্টোদিকে, এই ঘটনায় শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল উত্তর বিধান থানার পুলিশ।

একজনের পাকস্থলীতে বিষ পৌঁছেছে, অপরজনের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে! কেমন আছেন সেই ৫ শিক্ষিকা?
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2021 | 5:41 PM

কলকাতা: মঙ্গলবার তাঁদের কাজ শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্যে। বিকাশভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন পাঁচ এসএসকে শিক্ষিকা। তাঁঁদের কেউ আরজিকরে চিকিত্সাধীন, কেউ এসএসকেএম হাসপাতালে।

আরজিকরে চিকিৎসাধীন তিন জনের মধ্যে একজনের বিষ পাকস্থলীতে চলে গিয়েছিল। তাঁকে আইসিইউয়ে রেখে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাকি দু’জন মেডিসিন ওয়ার্ডে রয়েছেন। সকলের‌ই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

এন‌আর‌এসে দু’জনের মধ্যে একজনের রাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে তাঁকে। সেখানে দুজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁরও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। আরজিকর সূত্রের খবর, অর্গানোফসফরাস জাতীয় কীটনাশক খেয়েছিলেন আন্দোলধকারীরা।

অন্যায়ভাবে বদলির প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এসএসকে এবং এমএসকে শিক্ষিকারা। বদলির অস্বচ্ছতার দাবি তুলে রাস্তায় নামে শিক্ষক ঐক্য মঞ্চ। বিকাশ ভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় বলে অভিযোগ। যদিও ঘটনার সময় আদৌ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ভিতরে ছিলেন কি না তা এখনও জানা যায়নি। তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতেই শুরু হয় ঝামেলা। এরই মধ্যে পাঁচজন একটি শিশি বের করে মুখে কিছু একটা ঢেলে দেন। এরপরই তাঁদের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বের হতে দেখা যায়। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। উল্টোদিকে, এই ঘটনায় শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল উত্তর বিধান থানার পুলিশ।

সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া ,আত্মহত্যার চেষ্টা ,সরকারি কর্মচারীকে আঘাত করা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে উত্তর বিধান নগর থানায়। সন্ধ্যাতেই ঘটনাস্থলে যায় ফরেন্সিক টিম। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে তারা।

ঘটনার প্রতিবাদে টুইট করে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে লেখেন, “আজ বিকাশভবনের সামনে ৫ জন এসএসকে-এমএসকে শিক্ষিকা নিজেদের বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে বদলির প্রতিবাদে বিষ পান করেছেন। তাঁরা যে সামান্য টাকা মাসোহারা পান, তাতে তাঁদের আলাদা থাকার জায়গা জোগাড় করা সম্ভব নয়। প্রতিহিংসাপরায়ণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার শাস্তিমূলক বদলিকে নতুন অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে।”

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, “কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তা আমরা তদন্ত করে দেখার চেষ্টা করছি।” যদিও এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আন্দোলনরত শিক্ষিকাদের ‘বিজেপি ক্যাডার’-এর তকমা দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে এসএসকে এবং এমএসকে-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধরূপ দেয়। সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩৩৯০ টাকা করা হয়।” আরও পড়ুন: তথ্য তালাসের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে সিবিআই, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে এবার ‘স্পেশ্যাল ১০৯’