Kunal Ghosh: বেকসুর কুণাল
Kunal Ghosh: এর আগে সারদা মিডিয়ার বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সারদার আরও একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান কুণাল। সাঁতরাগাছিতে দায়ের হয়েছিল সেই মামলা।
কলকাতা: স্বস্তিতে কুণাল ঘোষ। সারদার আরও একটি মামলা থেকে মিলল নিস্তার। নিজেই টুইট করে জানালেন সে কথা। ২০১৩ সালে পার্কস্ট্রিটে যে মামলা দায়ের হয়েছিল তা থেকেই তৃণমূল মুখপাত্রকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বিধাননগর এমপি এমএলএ বিশেষ আদালত। পার্কস্ট্রিট থানায় সারদা গ্রুপের একটি প্রথম সারির মিডিয়া হাউসের কর্মীদের বেতন না দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ওই অফিসের কর্মীরাই সেই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পার্কস্ট্রিট থানায়। সেখানে নাম ছিল কুনাল ঘোষেরও। সেই মামলাতেই নিষ্কৃতি মিলল কুণালের। পাশাপাশি একই মামলায় সুদীপ্ত সেন তাঁর দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সুদীপ্ত সেন ইতিমধ্যে আট বছর পাঁচ মাস জেলে থাকায় তার শাস্তির মেয়াদ পার হয়ে গিয়েছে। ফলে সুদীপ্ত সেনের ক্ষেত্রেও এই মামলাটি শেষ হয়ে গেল।
এ প্রসঙ্গেই এদিন টুইটে কুণাল লেখেন, “আজ রায়দানে আমাকে যাবতীয় অভিযোগমুক্ত বলে ঘোষণা করেন বিচারক জয়শঙ্কর রায়। আমার বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারাও প্রযোজ্য নয় বলে রায় দেয় কোর্ট।” টুইটে কুণাল জানাচ্ছেন, ২০১৩ সালের ওই মামলায় এদিন নিজের দোষ কবুল করেছেন সুদীপ্ত সেন। আদালতের এই রায় সামনে আসতেই তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
এর আগে সারদা মিডিয়ার বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত আরও একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সারদার আরও একটি মামলা থেকে বেকসুর খালাস পান কুণাল। সাঁতরাগাছিতে দায়ের হয়েছিল সেই মামলা। কুণালের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ ছিল। প্রমাণের অভাবে সেই মামলা খারিজ করে দেয় এমপি এমএলএ বিশেষ আদালত।
প্রসঙ্গত, সারদা দুর্নীতি মামলায় কুণালের নাম জড়াতেই তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে। আইপিএস রাজীব কুমারের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল সিট। ২০১৩ সালের ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। দফায় দফায় বিভিন্ন ধারায় মামলা হতে থাকে কুণালের নামে। দীর্ঘদিন কারাবন্দিও থাকেন। পরবর্তীতে যদিও তিনি জামিন পেয়ে যান।