Utshasree: বদলির আবেদনে যোগ্যরা অগ্রাধিকার পাবে তো? প্রশ্ন শিক্ষকদের একাংশের

তবে এই অভিযোগ ধোপে টিকতে দেননি এসএসসি চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার।

Utshasree: বদলির আবেদনে যোগ্যরা অগ্রাধিকার পাবে তো? প্রশ্ন শিক্ষকদের একাংশের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 8:12 PM

কলকাতা: উৎসশ্রী পোর্টাল উদ্বোধন হয়েছে। জমা পড়ছে বদলির একের পর এক আবেদন। কিন্তু আবেদন জমা পড়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় সীমা নেই। আবেদন জমা পড়ার ভিত্তিতে বদলির রেকমেন্ডেশন দিচ্ছে কমিশন। সেখানেই শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, শেষ আবেদনের কোনও ডেডলাইন না থাকায়, অধিক যোগ্য প্রার্থীর জায়গায় বদলি পেয়ে যাচ্ছেন তুলনামূলক কম যোগ্য প্রার্থী। এ বিষয়ে পাল্টা কমিশনের বক্তব্য, এই চাকরির বদলি বিষয়টাই একটা ‘অনবরত প্রক্রিয়া’। এটা কী ভাবে নির্দিষ্ট সময় সীমায় বেধে দেওয়া যায়?

বদলির ক্ষেত্রে স্কোরিং বিবেচিত হয় বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।

১. সিনিয়রিটি ২. বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ৩. পরিবারের কারোর অসুস্থতা। ৪. ১০ বছরের কম বয়সী সন্তান থাকলে। ৫. শারীরিক অসুস্থতা-সহ অন্যান্য।

এবার শেষ দিন না থাকায় এই স্কোরিংয়ে পিছিয়ে থাকা ব্যক্তি আগে রেকমেন্ডেশন পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ। তবে এই অভিযোগ ধোপে টিকতে দেননি এসএসসি চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার। তাঁর পাল্টা দাবি, এইভাবে শেষ দিনের কনসেপ্ট বদলির ক্ষেত্রে খাটে না। সেই পদ্ধতি মানতে গেলে অনন্ত কাল কেটে যাবে।

শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “আবেদনের শেষ দিন নির্দিষ্ট করে না থাকায় একই স্কুলের জন্য আবেদনকারী অনেকের মধ্যে একজন আগেভাগে বদলি পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাকিদের আবেদনই পৌঁছচ্ছে না। যা পদ্ধতিগত ত্রুটি। কমিশনের উচিৎ আমাদের দাবি মেনে নির্দিষ্ট দিন অন্তর ‘রেকমেন্ডেশন’ দেওয়া। যা বিজ্ঞানসম্মত তো বটেই। পাশাপাশি যোগ্যতা যাচাইয়ের যথোপযোগী।”

যে সব শিক্ষক বা শিক্ষিকার বদলির প্রয়োজন, তাঁরা যাতে সহজেই অনলাইনে আবেদন করতে পারেন, তার জন্যই ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করা যাবে বদলির জন্য। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাই আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদনের জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে এই বদলির আবেদনের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু শর্ত। একই বিদ্যালয়ে একটানা পাঁচ বছর কাজ করার পরই কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা আবেদন করতে পারবেন। একবার বদলি হয়ে গেলে তারপর পাঁচ বছর আর আবেদন করা যাবে না। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি আগে বদলির নির্দেশ পেয়েও তা ফিরিয়ে দিয়ে থাকেন, তাহলে পরের সাত বছর আর আবেদন করতে পারবেন না। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি সাসপেন্ড হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর আবেদন করার সুযোগ নেই। কারও বিরুদ্ধে যদি বিভাগীয় তদন্ত চলে তাহলেও তিনি আবেদন করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে এসএসসির চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার বলেন, “এটা একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। তাই এটার যে আবেদন শেষের কোনও তারিখ থাকবে এই ধারনাটাই বা তৈরি হচ্ছে কেন। অভিযোগের তো একটা যুক্তি থাকবে। এই তারিখ থেকে এই তারিখের মধ্যে যারা আবেদন করবেন তাদের ব্যাপারটা চিন্তার মধ্যে আনা হবে, এটাই অভিযোগকারীরা বলতে চাইছেন। এটা কি ট্রান্সফারে আসতে পারে? একজন শিক্ষক যখন এই ট্রান্সফারের আবেদনের যোগ্য হবেন তিনি তো তখনই আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তো কোনও সময় সীমা বেধে দেওয়া সম্ভবই নয়।” আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্য ২০২৪, একজোট হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এগোতে হবে’, মমতা, শরদ, উদ্ধবদের বার্তা সোনিয়ার

আরও পড়ুন:  বিশ্লেষণ: এ বার ঘরে বসেই বদলির আবেদন! ‘উৎসশ্রী’র সব প্রশ্ন জানুন এক ক্লিকে