Tathagata Roy: বিজেপিতে নাকি অর্থ ও নারী চক্র সক্রিয়! তথাগতর বিস্ফোরক টুইটে মামলা রুজু
Tathagata Roy: কয়েকদিন ধরে চলা তথাগত রায়-দিলীপ ঘোষ সংঘাতের এই পর্বে মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল যা দাবি করলেন, তাতে বঙ্গ রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গেল।
কলকাতা: বিগত কয়েকদিন ধরে যে তথাগত রায়ের (Tathagata Roy ) সিরিজ চলছে, তাতে নব সংযোজন। আরও বিস্ফোরক বিজেপি নেতা তথাগত রায়। বিজেপিতে নাকি অর্থ ও নারী চক্র সক্রিয়। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তথাগত রায়। কয়েকদিন ধরে চলা তথাগত রায়-দিলীপ ঘোষ সংঘাতের এই পর্বে মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল যা দাবি করলেন, তাতে বঙ্গ রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গেল।
তথাগত রায় বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিট বিনিময়ের ক্ষেত্রে দলের একাংশ অর্থ এবং নারী চক্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়।” মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হেয়ারস্ট্রিট থানায় গিয়ে বিষয়টি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
“৩ থেকে ৭৭”(এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা – এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে।
— Tathagata Roy (@tathagata2) November 8, 2021
অভিযোগ পত্রের সঙ্গে তিনি তথাগত রায়ের সমস্ত টুইটের স্ক্রিনশট জমা দেন পুলিশের কাছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপি-র কাছে ক্রমেই অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই তথাগত রায়কে সরাসরি দল ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ পাল্টা অবশ্য দিলীপকে অর্ধ শিক্ষিত বলে কটাক্ষ করেছেন তথাগত।
শনিবার নিউ টাউনে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে তথাগত রায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠতে দিলীপ ঘোষ তাচ্ছিল্যের সুরে বলেছিলেন, “কত দিন আর লজ্জা পাবেন? দল ছেড়ে দিন। যাঁরা দলের জন্য কিছুই করেননি। দল যাঁদের সব থেকে বেশি দিয়েছে। তাঁরাই দলের সবথেকে বেশি ক্ষতি করেন। আমাদের দুর্ভাগ্য এটা।” তথাগতের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রেক্ষিতেই এহেন মন্তব্য করেন বিজেপির সহ সভাপতি। এদিকে রবিবার তথাগত ফেসবুক ও টুইটারে পাল্টা জানালেন, তিনি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছেন না। দল ছাড়লে অনেক ‘গুপ্ত কথা’ ফাঁস করতে পারতেন বলে দাবি তাঁর। আপাতত বিজেপিতে তাঁর কাজ, সাধারণ সদস্য হিসাবে অনেকটা যাত্রার বিবেকের ভূমিকা পালন করা।
সেবার ঠিক কী বলেছিলেন তথাগত? ফেসবুক পোস্টে তথাগত লেখেন, “গতকাল থেকে ফোনে ফোনে জর্জরিত হয়ে গেলাম। সকলকে আশ্বস্ত করছি এই বলে, যে আমি স্বেচ্ছায় দল ছাড়ছি না। আমি আপাতত এখন সাধারণ সদস্য। এই অবস্থাতেই যাত্রার বিবেকের ভূমিকা পালন করে যাব। দল ছাড়তে পারলে সব গুপ্তকথাই ফাঁস করতে পারতাম কিন্তু এখনই তা হচ্ছে না।” (বানান ও বাক্যগঠন অপরিবর্তিত)।
এই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তথাগত-প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে বলে সূত্রের খবর। কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষকে যেভাবে তিনি আক্রমণ করে আসছেন, তাতে দলই বিড়ম্বনায় পড়ছে। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের কোনও ক্ষমতা নেই তথাগতের মতো হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে সরানোর। তাঁকে দেখেই তো এক সময় বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাই তাঁরই এমন ধারাবাহিক সমালোচনায় দ্বিধা ও দ্বন্দ্বে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এখন তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের। এখন দেখার এ নিয়ে কী পদক্ষেপ করেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ‘ওঁ বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সংযত হোন…’, খেদ সেচমন্ত্রীর, ক্রমেই ‘উলঙ্গ’ হচ্ছে শুভেন্দুর শব্দচয়ন!