Tejasvi Surya : ‘হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম… এমন অমানবিক পুলিশ আগে দেখিনি’, একরাশ ক্ষোভ তেজস্বীর
BJP Agitation in Kolkata: "আমি পুলিশের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম, আমাদের কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করতে। কিন্তু একজন পুলিশকর্মীও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।" অভিযোগ তেজস্বী সূর্যর।
কলকাতা : বিকাশ ভবন অভিযান শেষে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। বললেন, “আমি পুলিশের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম, আমাদের কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করতে। কিন্তু একজন পুলিশকর্মীও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মতো এমন অমানবিক, অগণতান্ত্রিক, বর্বরোচিত, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের কাজ আমি গোটা রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি।” শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চা। উচ্চমাধ্যমিক চলায় পুলিশ এই কর্মসূচির অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু সে সবের তোয়াক্কা না করেই মিছিল এগিয়ে নিয়ে যায় বিজেপি। আর তাতেই কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশও প্রতিরোধ করে। ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান চালায় পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ পুলিশের লাঠিতে তাদের কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। যদিও পুলিশের দাবি কোনও লাঠিচার্জ হয়নি।
বিকাশ ভবন অভিযান শেষে তেজস্বী সূর্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “আজকের কর্মসূচিতে আমাদের ২৫ জনেরও বেশি কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের আমরা পৃথক পৃথক হাসপাতালে ভর্তি করেছি। যখন আমাদের কর্মীদের উপর এ ভাবে পুলিশ প্রাণঘাতী হামলা করেছে, আমি নিজে সেখানে ওখানে উপস্থিত ছিলাম। আমাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের কোনও ব্যবস্থা ছিল না, অন্য কোনও গাড়িরও ব্যবস্থা ছিল না। আমি পুলিশের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করেছিলাম, আমাদের কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করতে। কিন্তু একজন পুলিশকর্মীও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেননি, পুলিশের গাড়িরও ব্যবস্থা করেননি। রাস্তায় ট্যাক্সি ও অটোতে করে আমাদের কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এটা অত্যন্ত লজ্জার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এমন আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গে। আজ এই কর্মসূচিতে পাঁচ হাজারেরও বেশি যুব উপস্থিত ছিল। আমাদের দোষ ছিল, আমরা মমতার সরকারের থেকে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি করেছিলাম। ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত এসএসসিতে নোটিফিকেশন আসেনি নিয়োগের। প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষায় এখনও প্রচুর শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। যখন পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়, তখ দেখা যায়, মেধা তালিকায় নাম আর নিয়োগ প্রাপ্তদের নামের মধ্যে বিরাট ফারাক। একজনের নাম আসে মেধাতালিকায়, ভর্তি হয় অন্য কেউ।”
আরও পড়ুন : Heat Wave: প্রয়োজনে জল সরবরাহের সময় বাড়নো হোক, তীব্র তাপপ্রবাহে জেলাগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের