Ghee: কোলেস্টেরল বাগে নেই? সাদা তেলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে রান্না করলেই ফল পাবেন!

Cooking With Ghee: মাংস বা মাছ রান্নায় ঘি ব্যবহার করতে হলে সাদা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। নইলে রান্না হয়ে গেলে চামচে করে ঘি ছড়িয়ে দিন

Ghee: কোলেস্টেরল বাগে নেই? সাদা তেলের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে রান্না করলেই ফল পাবেন!
জানুন কী ভাবে রান্নায় ঘি ব্যবহার করবেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 19, 2022 | 4:04 PM

ভারতীয় সংস্কৃতিতে শুভ ইঙ্গিত হিসেবেই প্রথম পাতে ঘি-ভাত খাওয়া হয়। প্রথম পাতে ঘি খাওয়া ভারতের রীতি। বাড়ির যে কোনও অনুষ্ঠানেই ঘি-এর তৈরি পদ থাকবেই। শুক্তো থেকে ডাল- খাঁটি ভারতীয় রান্নার স্বাদ খোলতাই হয় ঘি-এর জাদুতে। আর্য়ুবেদ শাস্ত্রেও ঘি-এর একাধিক উপকারিতার কথা রয়েছে। জ্বর, কাশি, দুর্বলতা, হজম কাটাতে যেমন ঘি ব্যবহার করা হয় তেমনই ত্বকের পরিচর্যাতেও ঘি-এর ব্যবহার আছে। ধর্মশাস্ত্র বলে বাড়িতে ঘি পোড়ালে পরিবারের মঙ্গল হয়। নিয়ম করে প্রতি বৃহস্পতিবার অনেকেই বাড়িতে ঘি-এর প্রদীপ জ্বালেন। গরম খিচুড়িতে এক চামচ গাওয়া ঘি পড়লে যেমন খেতে অমৃত হয় তেমনই ঘি-রোস্ট চিকেনেরও হেঁশেলে নামডাক রয়েছে। তবে রান্নায় ঘি কী ভাবে ব্যবহার করবেন তা নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।

পুষ্টিবিদ অবন্তী দেশপান্ডে সম্প্রতি তাঁর ইন্সটাগ্রামে নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি শেয়ার করেছেন বেশ কিছু টিপস। ঘি-এর মধ্যে থাকে ভাল ফ্যাট। কিন্তু ঘি দিয়ে রান্না করলে সেই ফ্যাট ভেঙে যায় এবং যার থেকে শরীরের ক্ষতি হয়। শুনে অবাক লাগছে? শরীরের প্রয়োজনে ঘি অবশ্যই খাওয়া উচিত, বলছেন পুষ্টিবিদরা। সেই সঙ্গে অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও ঘি-এর ভূমিকা রয়েছে। তবে রান্নায় ঘি-ব্যবহার করতে মানা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘি-এর মধ্যে সবজি ভেজে বা কষিয়ে রান্না করলে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ঘি-এ ভাজা লুচি যতই খেতে ভাল লাগুক না কেন তা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। কারণ কড়াইতে ঘি-গরম করে তার মধ্যে সবজি দিলে ঘি-এর মধ্যেকার ভাল ফ্যাট ভেঙে অসম্পৃক্ত ফ্যাটে পরিণত হয়। পরিবর্তে গরম ভাত বা রুটিতে ঘি-মাখিয়ে খাওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

অবন্তী আরও বলেছেন, সবথেকে ভাল যদি ঘি-এর সঙ্গে সাদা তেল মিশিয়ে রান্নায় ব্যবহার করতে পারলে সবথেকে ভাল। কাকণ তেলের মধ্যে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। অন্য দিকে তিল বা সূর্যমুখীর তেলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরের জন্য উপকারী। সরাসরি স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে মিশে গেলে একাধিক সমস্যা হতে পারে। ঘি আর সাদা তেল যখন মিশে যায় তখন তা শরীরের জন্য ততটাও ক্ষতিকারক হয় না।

স্যাচুরেটেড এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট কি? স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয় । শরীর সুস্থ রাখতে সব সময় অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার কথা বলা হয়। অসম্পৃক্ত চর্বি আমাদের হার্টের জন্য ভাল।

রোজ কী ভাবে ঘি খাবেন?

পুষ্টিবিদরা রোজ ঘি খাবার কথা বলেন, ঘি দিয়ে তৈরি খাবার নয়। ঘিয়ে ভাজা লাড্ডু, গজা কোনওটাই শরীরের জন্য ভাল নয়। এমনকী অতিরিক্ত ঘি দেওয়া পোলাও, পরমান্ন খেলেও পেটের সমস্যা হয়। তাই ঘি আলাদা করে খান। মাংস বা মাছ রান্নায় ঘি ব্যবহার করতে হলে সাদা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। নইলে রান্না হয়ে গেলে চামচে করে ঘি ছড়িয়ে দিন। ঘি-এর মধ্যেকার স্যাচুরেটেড ফ্যাটের সঙ্গে যখন সাদা তেলে উপস্থিত মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড মেশে তখনই কিন্তু তা হার্টের জন্য উপকারী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে যে অনুপাতের কথা বলা হয়েছে তা হল- SFA:MUFA:PUFA 1:1.5:1। এই হিসেবেই ঘি মেশান রান্নায়।

রোজ সকালে খালি পেটে এক চামচ করে ঘি খেতে পারলে তা কিন্তু হজম ক্ষমতা ভাল করে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।