E-Mobility: ডাইনিং টেবিলে খাবার খেতে খেতেই পেট্রোল পাম্পে চার যুবক! মজাদার ভিডিয়ো দেখে আনন্দ মহীন্দ্রার ট্যুইট এখন ভাইরাল
Anand Mahindra: আনন্দ মাহিন্দ্রা এই ভিডিওটি ট্যুইট করে মন্তব্য করেছেন, ‘আমার মনে হয় এই হল ই-মোবিলিটি। যেখানে ‘‘ই’’-এর অর্থ ইট (খাবার খাওয়া)’।তাঁর এই সরস মন্তব্যের জন্যই সাধারণ মানুষ তাঁর ট্যুইট পছন্দ করে।
আলাদিনের উড়ন্ত গালিচার কথা জানেন নিশ্চয়? ওই কার্পেটের কল্যাণেই জেসমিনকে উদ্ধার করতে পেরেছিল আলাদিন। কেমন হতো যদি ওই কার্পেট পেতেন আপনিও? সেখানেই বসে বসে নিশ্চয় দেশ বিদেশে ঘুরতেন? কার্পেটেই বসতেন, সেখানেই ঘুমাতেন, খেতেন! তাই তো? না, কাপের্ট পাওয়া হয়তো সম্ভব নয়, তবে টেবিল একটা পেতে পারেন! যে সে টেবিল নয়, একেবারে চলমান ডাইনিং টেবিল (Dining Table)! কোনও প্রাঙ্ক নয়। একেবারেই সত্যি ঘটনা। ভাবছেন কোথায় দেখা গেল এমন টেবিল? উত্তর হল— ট্যুইটারে! মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা (Ananad Mahindra) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটারে (Twitter) যথেষ্ট সক্রিয়। তিনি প্রতিদিন অনেক ট্যুইট করেন এবং তার মধ্যে অনেক ট্যুইট যথেষ্ট মজাদার হয়। সাধারণ মানুষও খুব পছন্দ করে ট্যুইটগুলি। সম্প্রতি আনন্দ মাহিন্দ্রা একটি ভিডিও ট্যুইট করেছে যা ১২ লক্ষ বারেরও বেশি দেখা হয়েছে এবং ২৭ হাজারেরও বেশি ট্যুইটার ব্যবহারকারীর লাইক পেয়েছে! ভাবছেন কী আছে সেই ট্যুইটে?
আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট করা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, চারজন যুবক একটি খাবার টেবিলে খাচ্ছে। তবে সেটি সাধারণ খাবারের টেবিল নয়। ওই টেবিল রীতিমতো চলমান ডাইনিং টেবিল!
এমনিতে ক্রেতা আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন রেস্তোরাঁ নানা ধরনের উপায় বের করে। যেমন টেবিলের উপর চালিয়ে দেওয়া হয় ছোট ট্রেন। সেই ট্রেনের কামরায় থাকে সুস্বাদু খাবার। এছাড়া ঘূর্ণায়মান টেবিলেরও দেখা পাওয়া যায় কিছু কিছু রেস্তোরাঁয়। আবার ওভেনের পাশেই খাবার টেবিল জোড়া থাকে। শেফরা সদ্য রান্না করা খাবার তুলে দেন ক্রেতার পাতে। তবে আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইটে যা দেখা গিয়েছে তা সকলের চোখ কপালে তুলে দিয়েছে! এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই ভিডিওতে এমন কী আছে যে এত মানুষ দেখছেন এবং পছন্দ করছেন?
আনন্দ মাহিন্দ্রার ট্যুইট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চারজন যুবক একটি চলমান ডাইনিং টেবিলে বসে খেতে খেতেই জ্বালানি ভরার স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছে। সেখান থেকে টেবিলে জ্বালানি পুরে ফের রাস্তার উদ্দেশে রওনা দেয়!
View this post on Instagram
আসলে ওই ডাইনিং টেবিলের নীচে লাগানো ছিল চাকা। টেবিলের নীচে একটি ইঞ্জিনও যুক্ত ছিল। ওই ইঞ্জিন ও চাকাই সসচল রেখেছিল টেবিলকে!
আনন্দ মাহিন্দ্রা এই ভিডিওটি ট্যুইট করে মন্তব্য করেছেন, ‘আমার মনে হয় এই হল ই-মোবিলিটি। যেখানে ‘‘ই’’-এর অর্থ ইট (খাবার খাওয়া)’।তাঁর এই সরস মন্তব্যের জন্যই সাধারণ মানুষ তাঁর ট্যুইট পছন্দ করে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, অধুনা দেশে ‘ই-মোবিলিটি’র উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সমস্ত মোটরগাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ই-মোবিলিটি’ নিয়ে কাজ করছে। টাটার তরফে ইতিমধ্যে একাধিক বিদ্যুৎচালিত গাড়ি তৈরি করা হয়েছে ও সেগুলি রাস্তাতেও দেখা যাচ্ছে। এমন প্রতিযোগীতার বাজারে মাহিন্দ্রাও পিছিয়ে থাকতে নারাজ। শোনা যাচ্ছে মাহিন্দ্রাও বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করার কাজে হাত দিয়েছে। শীঘ্রই অনেকগুলি নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি বের করার পরিকল্পনা তারা করছে। প্রথমত, এক্সইউভি ৩০০-এর বৈদ্যুতিক সংস্করণও বের করা যেতে পারে বলে খবর। তবে কবে সেই গাড়ি রাস্তায় নামবে সেই সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই।