Weight loss: কিটো ডায়েটের পাশাপাশি মেনে চলছেন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংও! সাবধান, পড়তে পারেন বিপদে
Diet: ওজন কমানোর জন্য অনেক রকম ডায়েটই রয়েছে। কিটো ডায়েট আর ইন্টারমিটেন্ট দুটোই কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে বিপরীত এই দুই ডায়েট কিন্তু মোটেই একসঙ্গে মেনে চলবেন না
আজকাল সকলেই চান কম সময়ের মধ্যে চর্বি গলিয়ে ফেলতে। আর তা যদি এক সপ্তাহের মধ্যে হয় তাহলে তো কথাই নেই। বাস্তবে কিন্তু মোটেই এত সহজ পন্থা মেনে ওজন কমানো যায় না। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন সময় এবং ধৈর্য্যের। সেই সঙ্গে কিন্তু নিয়ম মেনে খাবারও খেতে হবে। বর্তমানে ওজন কমানোর জন্য কিটো ডায়েট (Keto diet) আর ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং (Intermittent fasting) এখন খুবই জনপ্রিয়। কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট সীমাবদ্ধ রাখা হয় আর ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার মধ্যে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকে না।
বরং একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কতক্ষণ উপবাসে থাকবেন আর তার কতক্ষণ পর খাবেন সেই বিষয়েই পরামর্শ দেয় এই ডায়েট। নির্দিষ্ট কোন খাবার খেতে হবে এমন নিষেধাজ্ঞা কিন্তু এক্ষেত্রে থাকে না। তবে ওজন কমাতে এই দুই পদ্ধতিই আমাদের সাহায্য করে। বেশ কিছু পরীক্ষাতেই তা প্রমাণিত। কিন্তু কিটো ডায়েট আর এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং একসঙ্গে না করাই ভাল। কারণ এতে ওজন কমতে সময়ও লাগে বেশি।
কিটো ডায়েট আসলে কি?
কিটো ডায়েটে ক্যালোরি কম খাবার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে যাতে অতিরিক্ত পরিমাণ ক্যালোরি খরচা হয় সেদিকেও নজর দিতে বলা হয়। এই ডায়েট মেনে চলার সময় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিনের খাবারে ৫-১০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২৫-৩০ শতাংশ প্রোটিন, ৭০-৭৫ শতাংশ ফ্যাট থাকতে হবে। এই ডায়েটে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকার কারণেই একটা সময় শরীরকে কিটোসিস প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয় তখন লিভারে জমা ফ্যাট থেকেই কিটোন তৈরি শুরু হয়। যা কার্বোহাইড্রেটের অনুপস্থিতিতে শরীরে শক্তির প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। তবে চর্বি খাওয়া মানেই যা খুশি তাই খাওয়া নয়। বাজে চর্বির পরিমাণ একদমই রাখবেন না। ভাল চর্বি রাখুন ডায়েটে। এই ডায়েটে সপ্তাহে দুদিন চিকেন খাওয়া যাবে। এছাড়াও চলতে পারে পনির, মাছ, ডিম, মাখন ঘি। তবে ফাস্টফুড, তেলেভাজা, মিষ্টি, জুস, ডাল,আলু, মাটির নীচের সবজি, নুডলস, আটা, পাস্তা, কর্নফ্লেক্স, নুডলস কিছুই খাওয়া যায় না।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এখন অন্যতম জনপ্রিয় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এই পদ্ধতিতে প্রতিদিন অল্প অল্প উপোস করতে ও খাদ্যাভাসে সামান্য বদল আনতে হয়। যেমন সকীলে ৮ টার মধ্যে পেট ভরে ব্রেকফাস্ট করার পর আবার দুপুর ৪টের সময় কিছু খেলেন। তা যে লাঞ্চ হতে হবে এমন নয়। হালকা কিছু খান। কিন্তু মাঝের এই সময়টায় কিছুই খাওয়া চলবে না। আর এটাই হল ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এভাবেই দিনে একটানা অনেকক্ষণ উপোস করা হয় এই পদ্ধতিতে। প্রথমে কম দিয়ে শুরু করলেও অনেকেই ১২-১৬ ঘণ্টা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন। সেক্ষেত্রে রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়া যেতে পারে। ফলে, ঘুমনোর সময়েই ৭-৮ ঘণ্টা এমনিতেই গ্যাপ হয়ে যাবে। আর সকালে সময় মতো খেলেই হল।
তবে এই দুই ডায়েট কি একসঙ্গে মেনে চলা ঠিক?
কিটো ডায়েটে সীমীত পরিমাণ খাবার খাওয়া হয় আর ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর ক্ষেত্রে অনেকটা সময় উপবাসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। যে কারণে এই ডায়েট মেনে চলার পক্ষে মোটেই সওয়াল করছেন না চিকিৎসকেরা।
কারণ কিটো ডায়েট যদি একটানা অনেকদিন মেনে চলেন তাতে ওজন কমলেও শরীরের অনেক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে চাপ পড়ে কিডনির উপর। আর যেখান থেকে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। শরীরে বাড়তি চাপ পড়ে। ক্ষতি হয় মনেরও। যেখান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা আসতে পারে। এছাড়াও প্রত্যেকটি মানুষের শরীরে বিপাক ক্রিয়ার হার আলাদা। তাই ওজন কমতে প্রত্যেকেরই যে একই সময় লাগে তা নয়। বরং দুটো ডায়েট মেনে চললে ওজন নাও কমতে পারে।
আরও পড়ুন: onion’s substitutes: পেঁয়াজ ছাড়া রান্না কিন্তু বজায় থাকবে পেঁয়াজের স্বাদ, কীভাবে?