ডায়াবেটিস এমন এক অসুখ যা শরীরকে ভিতর থেকে আরও বেশি অসুস্থ করে তোলে কিন্তু আমরা নিজেরাও তা ধরতে পারি না। ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখনই যখন তা চরম পর্যায়ে চলে যায়।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৮০ সালে সারা বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৮০ লক্ষ, যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ৪২.৫ কোটি। ডায়বেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ১১ লক্ষ ৬ হাজার ৫০০। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, বছরে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় ডায়বেটিসের কারণ।
একটা সময়ের পর সুগারের ওষুধও কিন্তু কাজ করে না শরীরে। তখন ইনসুলিন ইঞ্জেকশনই একমাত্র ভরসা। ওষুধ, ইনজেক্সন না নিয়েও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর তাই পাতে রাখুন এই কয়েকটি সবজি। তবে জুস হিসেবে খেতে পারলেই কিন্তু ভাল।
উচ্ছের মধ্যে ‘পলিপিটাইড-পি’ নামের একটি যৌগ যা স্বাভাবিক ভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রোজ উচ্ছের রস খেতে পারলে কাজে আসবে। এছাড়াও উচ্ছে আর জামের রস মিশিয়েও খেতে পারেন।
মুলোয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। সামান্য পাতি লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন কয়েক টুকরো মুলো খেতে পারলে রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
রোজ একবাটি ঢ্যাঁড়শ সিদ্ধ করে খান। এতে যেমন ওজন কমবে তেমনই নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তশর্করা। এছাড়াও এই ঢ্যাঁড়শ কিন্তু শরীরকে আর্দ্র রাখতেও সাহায্য করে।