Tinchuley: পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এই পাহাড়ি গ্রামে ঘুম ভাঙে পাখিদের কলরবে!
আমরা আপনার জন্য এমন এক অফবিটের খোঁজ নিয়ে এসেছি, যেখানে আপনি পাবেন মুক্ত বাতাস। অন্তত তিন চার দিনের জন্য মানতে হবে না করোনা বিধি, কারণ এই জায়গাটাই ঘিঞ্জি শহুরে পরিবেশের থেকে অনেকটা আইসোলেটেড। আর এই জায়গার নাম হল তিনচুলে।
দেড় বছর ধরে গৃহবন্দি সকলেই। কখনও কখনও অবস্থা স্থিতিশীল হয়ে উঠলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে না পরিস্থিতি। সকালে ঘুম থেকে উঠে হয় বাড়িতেই লগ-ইন কিংবা বাদুড় ঝোলা বাসে ট্রামে কোনও রকম গিয়ে পৌঁছালেন অফিস। তারপর সারাদিনের সেই কর্মব্যস্ততা আর কিছু চেনা অচেনা মুখ। এর মধ্য দিয়ে কখন যে দিন শেষ হয়ে যায় তা হয়তো বুঝতেও পারেন না। আর ভিতরে ভিতরে আপনার মন অস্থির হয়ে ওঠে বেড়াতে যাওয়ার জন্য।
কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেও মন টানে পাহাড়ে। কিন্তু কোডিভ পরিস্থিতে কোথায় যাওয়া যায়! এটাই ভাবছেন তো? তাই আমরা আপনার জন্য এমন এক অফবিটের খোঁজ নিয়ে এসেছি, যেখানে আপনি পাবেন মুক্ত বাতাস। অন্তত তিন চার দিনের জন্য মানতে হবে না করোনা বিধি, কারণ এই জায়গাটাই ঘিঞ্জি শহুরে পরিবেশের থেকে অনেকটা আইসোলেটেড। আর এই জায়গার নাম হল তিনচুলে।
নাম শুনে আপনার মনে হতেই পারে যে, এই তিনচুলে কোন চুলোয়! তাহলে জানিয়ে রাখি, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম হল এই তিনচুলে। সবুজে মোড়া এই গ্রাম অনেকটাই শহুরে সভ্যতা থেকে বিচ্ছিন্ন। বাঙালির কাছে যে দ্রুত গতিতে ডুয়ার্স, কালিম্পংয়ের অফবিট গুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে দার্জিলিংয়ের এই গ্রামগুলি অনেকটাই পিছিয়ে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ছয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রাম রয়েছে কালিম্পংয়ের দিকে চেয়ে। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা তো দাঁড়িয়েই রয়েছে এই গ্রামগুলিকে দেখাশোনার জন্য। এই গ্রামে যদি আপনি একবার গিয়ে পৌঁছান, তাহলে আপনার চোখে শুধু ধরা দেবে সবুজ প্রান্তর। কারণ ছোট ছোট তিনটি পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রাম। আর তিনটি পাহাড় নাকি দেখতে অনেকটা চুল্লির মত, আর সেই কারণেই এই গ্রামের নাম তিনচুলে।
হাতে গোনা দু তিন হোমস্টে ছাড়া এখানে থাকার জায়গা বলতে সেরকম কিছু নেই। সুতরাং, করোনার ভয়টাও এখানে অনেকটা কম। তবে আপনি যদি ভাবে এখানে কী কী দেখার জায়গা রয়েছে, তা বলে জানিয়ে রাখি এই গ্রামের মূল আকর্ষণ হল অর্কিডের বাগান। তাছাড়াও রয়েছে একটি প্রাচীন মনেস্ট্রি আর ছয়টি চা বাগান।
এই গ্রামে আপনার ঘুম ভাঙতে পারে পাখির কলরবে। আর সারাদিন এখানে আনাগোনা রয়েছে মেঘেদের। মেঘ, পাহাড়, বন আর নদী এই চারটের মিলিত শব্দ সারাদিনই আপনার কানকে ব্যস্ত করে রাখতে পারে। দার্জিলিং, শিলিগুড়ি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি করে সোজা চলে যেতেন পারেন এই অফবিটে।
আরও পড়ুন: এবার পুজোয় সোলো ট্রিপের জন্য যেতে পারেন পাইন বনে ঘেরা এই অফবিটে!
আরও পড়ুন: হাত বাড়ালেই মেঘ পাওয়া যেতে পারে দার্জিলিং-এর এই অফবিটে!