ওজন কমাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খাচ্ছেন। কিন্তু জলে মিশিয়ে খাচ্ছেন তো? সরাসরি এই পানীয় ভুলেও পান করবেন না। এতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে পেট ও খাদ্যনালিতে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক গ্লাস গরম জলে পরিমাণ মত অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন।
ঘুমোতে যাওয়ার সময় অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করেন? এই ভুল চরম পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। এই পানীয় খাওয়ার পর শুয়ে পড়লে এটি পুনরায় খাদ্যনালীতে চলে যেতে পারে। এরে ক্ষতি হবে খাদ্যনালীর। যদি রাতে এটি পান করেন তাহলে অন্তত ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে পান করেন।
অনেকেই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারকে টোনার হিসাবে ব্যবহার করেন। কিন্তু সরাসরি এটি ত্বকে ব্যবহার না করাই ভাল। এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। এক বোতল জলে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে তারপর সেটা ত্বকে লাগান।
ওজন কমাতে এবং হজমের জন্য খাবার খাওয়ার পর পরই অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করেন? এতেও ক্ষতি হয় পেটের ও খাদ্যনালীর। খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পান করুন অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার। এতে ওজনও কমবে এবং শরীরও সুস্থ থাকবে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার যখন পান করবেন তখন এটি শুকবেন না। এতে ফুসফুসে জ্বালাভাব হতে পারে। তাই চেষ্টা করুন না শুকেই পান করার।
দ্রুত ওজন কমাতে হবে ভেবে প্রচুর পরিমাণে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার পান করেন। এই ভুল কাজ করবেন না। এতেও পেটে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে এর অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্যের কারণে। অল্প পরিমাণে পান করুন। প্রয়োজনে ডায়াটিশনের সঙ্গে কথা বলুন।