Naseeruddin Shah’s Birthday: বড় মাপের অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ, তাঁর কিছু মন্তব্য বেশ বিতর্কিত, যা বলতে কখনও ভয় পাননি তিনি

Naseeruddin Shah's Birthday: ৭২তম জন্মদিন নাসিরুদ্দিন শাহের। শুরু করেছিলেন থিয়েটার দিয়ে। আর্ট ঘরাণার ছবি দিয়ে শুরু অভিনয় জীবন। তিনিই আবার ‘মোহরা’ ছবিতে ভিলেন হয়ে চমকে দিয়েছিলেন।

| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2022 | 5:48 PM
আজ ৭২তম জন্মদিন নাসিরুদ্দিন শাহের। বলিউডের অন্যতম স্ট্রং অভিনেতা তিনি। যেকোনও ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে যেমন তিনি সাবলীলা, তেমনই যেকোনও বিষয়ে কথা বলতেও কখনও পান ভয়। ইন্ডাস্ট্রি হোক কিংবা রাজনৈতিক মতামত, সবই তিনি অবলীলায় বলেন।

আজ ৭২তম জন্মদিন নাসিরুদ্দিন শাহের। বলিউডের অন্যতম স্ট্রং অভিনেতা তিনি। যেকোনও ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে যেমন তিনি সাবলীলা, তেমনই যেকোনও বিষয়ে কথা বলতেও কখনও পান ভয়। ইন্ডাস্ট্রি হোক কিংবা রাজনৈতিক মতামত, সবই তিনি অবলীলায় বলেন।

1 / 7
এই বছরের জুন মাসেই নাসিরুদ্দিন যাঁরা আফগানিস্তানে তালিবানদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে খুশি হয়েছেন, তাঁদের নিন্দা করেছিলেন এবং ভারতীয় মুসলমানদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তাঁরা কি 'সংস্কার ও আধুনিকতা চান নাকি ফিরে যেতে চান 'বর্বর' মূল্যবোধে। তিনি একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে বলেছিলেন, "ভারতীয় মুসলমানদের কিছু অংশ যাঁরা বর্বরদের নিয়ে আনন্দ করছেন, তাঁরাও কম বিপজ্জনক নয়। প্রত্যেক ভারতীয় মুসলমানের নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তাঁরা ইসলামে সংস্কার ও আধুনিকতা চান, নাকি গত কয়েক শতাব্দীর বর্বর মূল্যবোধ। ভারতীয় ইসলাম সারা বিশ্বের থেকে সবসময়ই আলাদা। ঈশ্বর যেন এমন সময় না আনেন যখন তা এতটাই বদলে যায় যে আমরা নিজেদেরকে চিনতেও না পারি।"

এই বছরের জুন মাসেই নাসিরুদ্দিন যাঁরা আফগানিস্তানে তালিবানদের প্রত্যাবর্তন নিয়ে খুশি হয়েছেন, তাঁদের নিন্দা করেছিলেন এবং ভারতীয় মুসলমানদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তাঁরা কি 'সংস্কার ও আধুনিকতা চান নাকি ফিরে যেতে চান 'বর্বর' মূল্যবোধে। তিনি একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে বলেছিলেন, "ভারতীয় মুসলমানদের কিছু অংশ যাঁরা বর্বরদের নিয়ে আনন্দ করছেন, তাঁরাও কম বিপজ্জনক নয়। প্রত্যেক ভারতীয় মুসলমানের নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তাঁরা ইসলামে সংস্কার ও আধুনিকতা চান, নাকি গত কয়েক শতাব্দীর বর্বর মূল্যবোধ। ভারতীয় ইসলাম সারা বিশ্বের থেকে সবসময়ই আলাদা। ঈশ্বর যেন এমন সময় না আনেন যখন তা এতটাই বদলে যায় যে আমরা নিজেদেরকে চিনতেও না পারি।"

2 / 7
নাসিরুদ্দিন নিজেকে দিলীপ কুমারের একজন বড় ভক্ত বলে দাবি করেন, কিন্তু মনে করেন প্রয়াত অভিনেতা সিনেমার জন্য যথেষ্ট কাজ করেননি। গত বছর দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর নাসিরুদ্দিন বলেছিলেন, "তাঁর কিছু কাজ নিঃসন্দেহে সময়ের সঙ্গে দর্শক মনে থাকবে, তারপরও  তিনি যে জায়গায় ছিলেন, তা স্পষ্ট যে যথেষ্ট কিছু করেননি সিনেমার জগতের জন্য। অভিনয় ছাড়া তিনি শুধুমাত্র একটি সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন। কোনও (অফিসিয়ালি অন্তত) ছবি পরিচালনা করেননি। কখনওই তাঁর অভিজ্ঞতা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেননি। কাউকে তৈরি করেননি। তাঁর ১৯৭০-এর দশকের পরবর্তী সময়ে এমন কোনও কাজ করেননি যা ভবিষ্যতের অভিনেতাদের জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য শিক্ষা রেখে যাননি। এমনকি তাঁর আত্মজীবনীটি পুরানো সাক্ষাৎকারের একটি পুনরুদ্ধার মাত্র।"

নাসিরুদ্দিন নিজেকে দিলীপ কুমারের একজন বড় ভক্ত বলে দাবি করেন, কিন্তু মনে করেন প্রয়াত অভিনেতা সিনেমার জন্য যথেষ্ট কাজ করেননি। গত বছর দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর নাসিরুদ্দিন বলেছিলেন, "তাঁর কিছু কাজ নিঃসন্দেহে সময়ের সঙ্গে দর্শক মনে থাকবে, তারপরও তিনি যে জায়গায় ছিলেন, তা স্পষ্ট যে যথেষ্ট কিছু করেননি সিনেমার জগতের জন্য। অভিনয় ছাড়া তিনি শুধুমাত্র একটি সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন। কোনও (অফিসিয়ালি অন্তত) ছবি পরিচালনা করেননি। কখনওই তাঁর অভিজ্ঞতা সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেননি। কাউকে তৈরি করেননি। তাঁর ১৯৭০-এর দশকের পরবর্তী সময়ে এমন কোনও কাজ করেননি যা ভবিষ্যতের অভিনেতাদের জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য শিক্ষা রেখে যাননি। এমনকি তাঁর আত্মজীবনীটি পুরানো সাক্ষাৎকারের একটি পুনরুদ্ধার মাত্র।"

3 / 7
নাসিরুদ্দিন একবার রাজেশ খান্নাকে হিন্দি চলচ্চিত্রে মধ্যমেধা আনার জন্য দোষারোপ করেছিলেন। কিন্তু পরে যখন এর জন্য নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন, তিনি যোগ করেছিলেন যে তাঁর বোঝা উচিত ছিল যে এত লোক রাজেশ খান্নাকে ভালোবাসেন। তবে তিনি তাঁর কথা ফিরিয়ে নিতেও অস্বীকার করেছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “এটি ৭০-এর দশক, যখন হিন্দি ছবিতে মধ্যমতা এসেছিল। তখনই রাজেশ খান্না নামক অভিনেতা এই জগতে এসেছিলেন। তাঁর সমস্ত সাফল্যের পরও  আমি মনে করি মিস্টার খান্না একজন খুব সীমিত অভিনেতা ছিলেন। আসলে তিনি একজন দরিদ্র অভিনেতা ছিলেন। বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে তিনি আমার দেখা সবচেয়ে অসতর্ক ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর রুচি সিনেমার স্ক্রিপ্ট, অভিনয়, সঙ্গীত এবং গানের মানকে নষ্ট করেছে। আপনার ছবির গল্পের প্রয়োজন নেই। আপনি একজন নায়িকাকে  বেগুনি শাড়ি পরিয়ে, আর নায়ক একটা লাল শার্ট পরে কাশ্মীরে গিয়ে একটা সিনেমা বানা্লেই হয়ে যায়”।

নাসিরুদ্দিন একবার রাজেশ খান্নাকে হিন্দি চলচ্চিত্রে মধ্যমেধা আনার জন্য দোষারোপ করেছিলেন। কিন্তু পরে যখন এর জন্য নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছেন, তিনি যোগ করেছিলেন যে তাঁর বোঝা উচিত ছিল যে এত লোক রাজেশ খান্নাকে ভালোবাসেন। তবে তিনি তাঁর কথা ফিরিয়ে নিতেও অস্বীকার করেছিলেন। তিনি ২০১৬ সালের একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “এটি ৭০-এর দশক, যখন হিন্দি ছবিতে মধ্যমতা এসেছিল। তখনই রাজেশ খান্না নামক অভিনেতা এই জগতে এসেছিলেন। তাঁর সমস্ত সাফল্যের পরও আমি মনে করি মিস্টার খান্না একজন খুব সীমিত অভিনেতা ছিলেন। আসলে তিনি একজন দরিদ্র অভিনেতা ছিলেন। বুদ্ধিমত্তার দিক থেকে তিনি আমার দেখা সবচেয়ে অসতর্ক ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর রুচি সিনেমার স্ক্রিপ্ট, অভিনয়, সঙ্গীত এবং গানের মানকে নষ্ট করেছে। আপনার ছবির গল্পের প্রয়োজন নেই। আপনি একজন নায়িকাকে বেগুনি শাড়ি পরিয়ে, আর নায়ক একটা লাল শার্ট পরে কাশ্মীরে গিয়ে একটা সিনেমা বানা্লেই হয়ে যায়”।

4 / 7
২০২০ সালে নাসিরুদ্দিন অনুপম খেরকে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে 'খুব সোচ্চার' হওয়ার জন্য 'একজন জোকার' বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, "অনুপম খেরের মতো একজনের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও গুরুত্ব আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি একজন ক্লাউন। এনএফডি এবং এফটিআইআই থেকে তাঁর সমসাময়িক যেকোনও সংখ্যক তাঁর এই বৈপরীত্য প্রকৃতির প্রমাণ খুব সহজেই ধরতে পারেন। এটা আসলে তাঁর রক্তেই আছে, তাঁর কিছু করার নেই।" অনুপম পাল্টা তাঁকে 'হতাশাগ্রস্ত' বলে অভিহিত করেন এবং বলেছিলেন যে কেউ তাঁকে যেন সিরিয়াসলি না নেয়।

২০২০ সালে নাসিরুদ্দিন অনুপম খেরকে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে 'খুব সোচ্চার' হওয়ার জন্য 'একজন জোকার' বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, "অনুপম খেরের মতো একজনের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও গুরুত্ব আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি একজন ক্লাউন। এনএফডি এবং এফটিআইআই থেকে তাঁর সমসাময়িক যেকোনও সংখ্যক তাঁর এই বৈপরীত্য প্রকৃতির প্রমাণ খুব সহজেই ধরতে পারেন। এটা আসলে তাঁর রক্তেই আছে, তাঁর কিছু করার নেই।" অনুপম পাল্টা তাঁকে 'হতাশাগ্রস্ত' বলে অভিহিত করেন এবং বলেছিলেন যে কেউ তাঁকে যেন সিরিয়াসলি না নেয়।

5 / 7
খেলার মাঠে অপর দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিরাট কোহলির প্রায়ই মৌখিক বিবাদ শিরোনাম আসে। নাসিরুদ্দিন একে 'সবচেয়ে খারাপ আচরণ' বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, "বিরাট শুধুমাত্র বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানই নন, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ আচরণকারী খেলোয়াড়ও। তাঁর অহংকার এবং খারাপ আচরণের পাশে তাঁর ক্রিকেটীয় প্রতিভা ম্লান হয়ে যায়।"

খেলার মাঠে অপর দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিরাট কোহলির প্রায়ই মৌখিক বিবাদ শিরোনাম আসে। নাসিরুদ্দিন একে 'সবচেয়ে খারাপ আচরণ' বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, "বিরাট শুধুমাত্র বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানই নন, বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ আচরণকারী খেলোয়াড়ও। তাঁর অহংকার এবং খারাপ আচরণের পাশে তাঁর ক্রিকেটীয় প্রতিভা ম্লান হয়ে যায়।"

6 / 7
গত বছর সেপ্টেম্বরে নাসিরুদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রযোজকদের সরকারপন্থী সিনেমা তৈরিতে উৎসাহ দেখানোর অভিযোগ তোলেন। তিনি একটি চ্যানেলকে বলেন, "তাঁদের ছবিতে অর্থ লগ্নি করা হবে  যদি তাঁরা সরকারের প্রচারমূলক সিনেমা তৈরি করেন, সঙ্গে সিনেমাকে ক্লিন চিট দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।" তিনি আরও যোগ করেছেন, "নাৎসি জার্মানিতেও এটির চেষ্টা করা হয়েছিল। অসামান্য, বিশ্বমানের সিনেমার পরিচালকদের একসঙ্গে করে বলা হয়েছিল নাৎসি দর্শনের প্রচার হয় এমন সিনেমা তৈরি করতে। যে ধরনের বড় বাজেটের চলচ্চিত্র আসছে তা দর্শনী।"

গত বছর সেপ্টেম্বরে নাসিরুদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রযোজকদের সরকারপন্থী সিনেমা তৈরিতে উৎসাহ দেখানোর অভিযোগ তোলেন। তিনি একটি চ্যানেলকে বলেন, "তাঁদের ছবিতে অর্থ লগ্নি করা হবে যদি তাঁরা সরকারের প্রচারমূলক সিনেমা তৈরি করেন, সঙ্গে সিনেমাকে ক্লিন চিট দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।" তিনি আরও যোগ করেছেন, "নাৎসি জার্মানিতেও এটির চেষ্টা করা হয়েছিল। অসামান্য, বিশ্বমানের সিনেমার পরিচালকদের একসঙ্গে করে বলা হয়েছিল নাৎসি দর্শনের প্রচার হয় এমন সিনেমা তৈরি করতে। যে ধরনের বড় বাজেটের চলচ্চিত্র আসছে তা দর্শনী।"

7 / 7
Follow Us: