নিরামিষ খাবারের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে থাকে পনির। সোমবার, মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার অনেক বাড়িতেই নিরামিষ হয়। আর সেদিন পাতে কিছু থাক আর না থাক পনির থাকবেই।
পনির দিয়ে অনেক কিছু বানানে যায়। সাধারণ গোটা জিরে আর আদা বাটা দিয়েই দারুণ পনিরের তরকারি বানানো যায়।
আবার অনেকে পনিরের পুর দিয়ে পরোটাও বানিয়ে নেন। মালাই পনির, দই পনির, পনির রোল অনেক কিছুই বানিয়ে নেওয়া যায়।
যে কোনও খাবারই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেলে বিপত্তি হতে পারে। পনিরও তাই। শরীরের জন্য ভাল হলেও মেপে খেতে হবে। লোভে পড়ে বেশি খেয়ে ফেললে সেখান থেকে সমস্যা আসতে বাধ্য।
পনির খুবই পুষ্টিকর উপাদান তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে পনির গুরুত্বপূর্ণ। তবে রোজ পনির খেলে এই সব সমস্যা আসতে বাধ্য।
পনির বেশি খেলে সেখান থেকে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স হতে পারে। যাঁদের দুধে সমস্যা রয়েছে তাঁরা দুধের অন্য কোনও খাবার খেতে না পারলেও পনির খেতে পারেন।
পনির বেশি খেলে হজমের সমস্যা হয়। সঙ্গে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে ওজন বেড়ে যায়, ডায়াবেটিসের সমস্যা আসে, কোলেস্টেরল থেকে ব্লাডপ্রেসার সবটাই বাড়তে থাকবে।
পনির বেশি খেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের সমস্যা থেকে যায়। সঙ্গে চুলকানি, অ্যালার্জির সমস্যাও অনেকখানি বেড়ে যায়। তাই পনির মেপে খান, বেশি খেলেই সমস্যা।