বর্ষা মানেই যখন তখন বৃষ্টি। সঙ্গে ছাতা, বর্ষাতি থাকলেও কাজে আসে না একেক সময়। একেবারে ভিজে-নেয়ে একশা। আবার এই সুন্দর বৃষ্টির দিনে চপ আর চা সহযোগে বাঙালির আড্ডা জমে বেশ। তবে হলে হবে কি, সমস্যাও যে আছে একগুচ্ছ! তার মধ্যে একটা বড় সমস্যা হল চুল পড়ার সমস্যা। বছরের এই সময় যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায় চুল পড়ার সমস্যা। তাই বর্ষাকালে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চাই অতিরিক্ত যত্ন।
1 / 8
বর্ষাকালে চুল রুক্ষ এবং নির্জিব হয়ে পড়ে। বিশেষৎ যাঁদের মাথায় একগাদা কোঁকড়ানো চুল তাঁদের মুশকিল তো আরও বেশি। অনেকেই ভয়ে চুল ছোট করে কেটে ফেলেন। তবে চুল না কেটেও যদি ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া যায়, তা হলে কিন্তু বর্ষা কালেও ঝলমলে থাকবে আপনার কেশরাশি। কী করবেন? রইল টিপস।
2 / 8
বর্ষাকালে চুল ও স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। সেই ক্ষেত্রে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কম ক্ষার যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। চুলের পুষ্টি পায় এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে ভাল কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তবে চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার লাগাবেন না। শেষে অবশ্যই চুল ভাল করে ধুতে হবে।
3 / 8
চুল শুকনো করতে ড্রায়ারের ব্যবহার এড়িয়ে যান। বদলে নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন। স্নানের পরে অবশ্যই ভাল সিরাম লাগান। এতে চুল এলোমেলো হবে না। রুক্ষভাব কম হবে।
4 / 8
বাইরে গেলেও বর্ষা কালে খুব বেশি জটিল করে চুল না বাঁধাই ভাল। এতে জট পড়ে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সাজে চমক রাখতে পনিটেল, খোঁপা, বা সুন্দর বিনুনি করতে পারেন।
5 / 8
বর্ষার সময়ে চুলের সমস্যা বাড়লে, চুল কেটে ছোট করে ফেলার বদলে ট্রিমিং করে দেখতে পারেন। এতে যেমন চুলের সৌন্দর্য্য বজায় থাকে, ঠিক তেমনই রুক্ষ চুলের ডগা, স্প্লিট এন্ডের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
6 / 8
ভেজা চুল কখনই আঁচড়াবেন না। এতে চুল বেশি পড়ে। আর অপরের ব্যবহার করা চিরুনি ব্যবহার না করাই ভাল। এতে অজান্তেই স্ক্যাল্পে ব্যাকটেরিয়া চলে আসতে পারে।
7 / 8
চুলের খাবার হল তেল। সপ্তাহে অন্তত দু'দিন চুলের গোড়ায় ভাল করে তেল মাখা প্রয়োজন। শ্যাম্পু করার ঘণ্টা খানেক আগেও তেল মাখতে পারেন। যেদিন শ্যাম্পু করবেন তার আগের দিন সারারাতও তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন চুলে। এতে চুল উজ্জ্বল দেখায়।
