লিভার আমাদের দেহে একাধিক কাজ সম্পন্ন করে। লিভার রক্ত থেকে ক্ষতিকারক পদার্থকে বের করে দেয় এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে সাহায্য করে। আপনি যা খান বা পান করেন সেটাই লিভারের মধ্য দিয়ে যায় এবং লিভারের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহের সঙ্গে মেশে।
লিভার খাবারগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে, সেগুলোকে পুষ্টিতে পরিণত করে এবং প্রয়োজনীয় অনুযায়ী দেহে অন্যান্য অংশে সরবরাহ করে। তাই লিভার যাতে তার ডিটক্সিফাইয়ের কাজ ভাল করে সম্পাদন করতে পারে, সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
লিভারের খেয়াল রাখার জন্য খাদ্যতালিকার দিকে নজর দিতে হবে। তবে, রোজের খাদ্যতালিকায় মাত্র ৫টি খাবার রাখলেই উপকার পেতে পারেন। লিভারকে ভাল রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। এটি লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। হলুদ অ্যালকোহল ও বিষাক্ত পদার্থ প্রতিরোধ করে এবং লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন।
আপেলের মতো স্বাস্থ্যকর ফল খুব কম রয়েছে। প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে আপনি অনেক রোগের হাত থেকেই নিজেকে দূরে রাখতে পারেন। আপেলের মধ্যে পলিস্যাচোরাইড পেকটিন নামের দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা লিভার থেকে টক্সিন দূর করে, কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শাক-সবজি বেশি পরিমাণে খান। পালং শাক, পুঁই শাক, মুলো শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, রাঙা আলু, গাজর, বিনস ইত্যাদি সবজি খান। এগুলো লিভার থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আখরোটের মধ্যে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি অ্যামোনিয়াকে ইউরিয়াতে রূপান্তর করতে পারে যা প্রস্রাবের মাধ্যমে সহজেই বেরিয়ে যায়। আখরোট রক্তে অক্সিজেন পরিবহণে সাহায্য করে।
রসুনের সালফার যৌগগুলি এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে যা প্রস্রাবের মাধ্যমে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। রসুন অ্যালিসিন এবং সেলেনিয়ামের মতো পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ যা লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে এবং যে কোনও ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।