করলা স্বাদে তেতো হতে পারে, তবে এতে চারটিন এবং মোমরডিসিনের মতো উপাদান রয়েছে, যা কোষের রক্তের অণুগুলিকে উদ্দীপিত করে, ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায় এবং পেশীতে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষণকে উদ্দীপিত করে। নিয়মিত পান করলে এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২০১১ সালের জার্নাল অফ এথনি ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, করলার হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব রয়েছে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে পাওয়া ফ্রুক্টোসামিনের মাত্রা হ্রাস করে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আপনি যদি ডায়বেটিসের রোগী নাও হন তাহলেও পান করতে পারেন করলার রস। কারণ নিয়মিত করলার রস পান করলে এটি আপনার শরীরের শর্করার মাত্রাকে বৃদ্ধি হতে দেবে না। বরং শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
করলার নির্যাস বা করলার রস একটি চমৎকার রক্ত পরিশোধক। এটি রক্তকে পরিশুদ্ধ করে ত্বক ও চুলের সমস্যাও প্রতিরোধ করে। ত্বকের অকাল বার্ধক্যকের ঝুঁকি কমায় করলার রস।
শসা, লেবুর রস এবং হলুদের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি করুন করলার রস। প্রথম করলা ও শসাকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে ব্লেন্ডারে এর রস বার করে নিন। এবার এই জুসটা ছেঁকে নিন। এতে লেবুর রস ও এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মেশান। পান করুন করলার রস।