'যুদ্ধ শেষ। সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। নারী স্বাধীনতা এবং মহিলাদের কাজের অগ্রাধিকারের বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর, তবে তা করতে হবে ইসলাম মেনেই।' জাবিহুল্লা মুজাহিদ, তালিবান মুখপাত্র
আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হতেই ফের শরিয়া আইনের পক্ষে সওয়াল। আরবিতে 'শরিয়া'র অর্থ 'পথ'। যার লক্ষ্য ইসলাম ধর্মাবলম্বী প্রতিটি মানুষকে আল্লাহর আদেশানুসারে দিক নির্দেশ করা। জীবনের সঠিক মার্গদর্শন করানো।
অতীতে আফগানিস্তানে বলবৎ ছিল শরিয়া আইন। কী আছে এই আইনে? - মহিলারা থাকবেন হিজাবের অন্তরালে। গৃহবন্দি। থাকবে না লেখাপড়া ও কাজের অধিকার। - ৮ বছর বয়স থেকেই মেয়েদের বোরখা বাধ্যতামূলক - শোনা যাবে না মেয়েদের পায়ের শব্দ, হাই হিল নিষিদ্ধ - গলার স্বর থাকবে নমনীয়, উচ্চস্বরে কথা বলতে পারবে না কোনও মহিলাই - সর্বোপরি, ইংরেজি উইম্যান (Woman) শব্দই কোথাও থাকবে না
শাস্তি কী? শরিয়া আইন উলঙ্ঘনে কখনও শাস্তি হয়েছে বেত্রাঘাত, কখনও পাথরের ঘা। ঘটেছে প্রাণহানিও (মৃত্যুদণ্ড)
বিশ্বে কোন কোন দেশে শরিয়া আইন রয়েছে? বিশ্বের ১৫টি দেশে শরিয়া আইন রয়েছে। যার মধ্যে পাকিস্তান, ইজিপ্ট, ইরাক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব অন্যতম