এখন সারা বছর ফুলকপি পাওয়া যায়। তবে তাজা ফুলকপি খেতে হলে শীতই সেরা সময়। মাছ আলু দিয়ে ফুলকপির তরকারি থেকে শুরু করে ফুলকপির রোস্ট শীতকালে এসব রান্না হয়েই থাকে।
স্বাদের সঙ্গে ফুলকপির গুণ অনেক। আর ফুলকপির পাতাগুলো কী করেন? ফেলে দেন? এবার উপকার জানলে আর এই ভুল করবেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ফুলকপির পাতা কী কাজে লাগে...
ফুলকপির মতোই এর পাতায় প্রোটিন এবং বিভিন্ন ধরনের মিনারেল রয়েছে। ফুলকপি পাতা বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এখন তাদের বেড়ে ওঠার সময়। এই সময় ফুলকপির পাতা খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবে না।
আপনি কি জানেন, ফুলকপির পাতা খেয়েও আপনি ওজন কমাতে পারেন। অপ্রয়োজনীয় ভেবে ফেলে দিচ্ছেন, কিন্তু এই আনাজের পাতায় ভরপুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। রোজের ডায়েটে স্যালাদ হিসেবে ফুলকপির পাতা রাখলে ওজন কমবেই।
গবেষণায় দেখা গয়েছে, ফুলকপির পাতার মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে। এই পুষ্টি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ জরুরি। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং চোখ সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। রাতকানা রোগ দূর করার ক্ষেত্রে ফুলকপির পাতা দারুণ উপযোগী।
ফুলকপির পাতার মধ্যে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে, অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
ফুলকপির পাতা গরম জলে ভাপিয়ে স্যালাদে খেতে পারেন। এছাড়াও অলিভ অয়েল, নুন, চিলি ফ্লেক্স আর অরিগ্যানো দিয়ে রোস্ট করে খেতে পারেন। এছাড়া আপনি ফুলকপির তরকারিতেও এর পাতা দিয়ে রান্না করতে পারেন।