Viral: বর্শা হাতে সন্ন্যাসিনী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভাইরাল এই ছবি, আসল রহস্য জানেন?
Viral: কে এই সন্ন্যাসিনী? কেনই বা তাঁর হাতে রয়েছে বর্শা? আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই বা কেন ভাইরাল হয়েছে এই ছবি?
যুদ্ধ শুরু হয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে (Russia Ukraine War)। এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন ধরনের ছবি, ভিডিয়ো। তার মধ্যে বেশ কিছু ছবি, ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরালও (Viral) হয়েছে। এর মধ্যে নজর কেড়েছে একটি ছবি যেখানে দেখা গিয়েছে একজন সন্ন্যাসিনীকে, যাঁর হাতে ধরা রয়েছে একটি বর্শা বা বল্লম জাতীয় জিনিস (St Javelin)। এই ছবির নাম সেন্ট জ্যাভলিন। বিগত কয়েকদিনে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এই ছবি। সেন্ট জ্যাভলিন (Saint Javelin) নামে পরিচিত এই ছবি চলতি যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আর সমস্ত কৃতিত্বই দেওয়া হচ্ছে ওই জ্যাভলিন বা বর্শাটিকে।
এই জ্যাভলিন বা বর্শাটি আসলে কী?
১৯৮০ সালের শেষের দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো এই বর্শার ডিজাইন করেছিল। জানা গিয়েছে, এই বর্শার ওজন প্রায় ৫০ পাউন্ড। সৈন্যরা সরাসরি এই বর্শা ছুঁড়তে পারেন। এর জন্য কোনও millie লঞ্চারের প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অনেকাংশের এই বর্শার উপর নির্ভরশীল। রাশিয়ার সৈন্যবাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য এই বর্শারই ব্যবহার করবে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে যে, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ৩৫০০ সৈন্য, ১০২টি ট্যাঙ্ক, ৫৩৬টি armoured vehicles, ১৫টি কামান, ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার এবং একটি BUK-1 মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে। বলা হচ্ছে, একটি মিসাইল থেকে যখন ফায়ার করা হয়, তখন তা curveball shot অনুসারে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছনোর আগে আকাশে ৪৯০ ফুট উঁচুতে ওঠে। জ্যাভলিনকে একটি শুট অ্যান্ট স্কুট ওয়েপন বা অস্ত্র বলা হচ্ছে। এর অর্থ হল জ্যাভলিন থেকে শট ফায়ার করার পর সৈন্যরা ছুটতে পারে। শোনা গিয়েছে, ইউক্রেনের কাছে দীর্ঘদিন এই জ্যাভলিন ছিল না। ২০১৮ সালে প্রথমে আমেরিকার কাছ থেকে এই জ্যাভলিন কেনা হয়েছিল। বর্তমানে এই চলমান সংকটের পরিস্থিতিতে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং এস্টোনিয়া জ্যাভলিন পাঠাচ্ছে ইউক্রেনে।
সেন্ট জ্যাভলিন বলতে কী বোঝানো হচ্ছে?
রাশিয়া-ইউক্রেনের এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এমন সংকটের সময় ইউক্রেনের প্রতিরোধের প্রতীক ছাড়াও সেন্ট জ্যাভলিন নামে তৈরি হয়েছে একটি ওয়েবসাইট। ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্যই ওই সাইটের মাধ্যমে ফান্ড অর্থাৎ টাকা তোলা হচ্ছে। জামাকাপড়, পতাকা, স্টিকার- এইসব বিক্রি করা হচ্ছে সেন্ট জ্যাভলিনের ওয়েবসাইটে। সমস্ত জিনিসের মধ্যে রয়েছে সেন্ট জ্যাভলিনের আইকন।
আরও পড়ুন- Viral Video: ফোন চুরি করতে এল চোর, আর তারই বাইক নিয়ে চম্পট দিলেন মোবাইলের মালকিন!